জার্মানিতে লকডাউন এর মেয়াদ ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি
জার্মানিতে গত ২ নভেম্বর থেকে চলমান লকডাউন আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। দেশব্যাপী চলমান লকডাউনে করোনা সংক্রমন আশানুরূপ নিয়ন্ত্রনে না আসায় এবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্বের বিধিনিষেধ কঠোর করা হয়েছে। বুধবার চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল ও রাজ্যপ্রধানদের ভিডিও কনফারেঞ্চ শেষে নতুন এই বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়।
পূর্বের মতো রেস্তোঁরা-বার, ফিটনেস স্টুডিও, সুইমিং পুল, থিয়েটার আপাতত বন্ধ থাকবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বর্তমানে ২ পরিবারের ১০ জন সদস্য একত্রিত হওয়ার অনুমতি থাকলেও ১ - ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ৫ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। মাস্ক ব্যাবহারের বাধ্যবাধকতাও বাড়ানো হয়েছে। তবে এবারো কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বেঁধে দিয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুল খোলা রাখা হয়েছে।
তবে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল বলেছেন, "দুর্ভাগ্যক্রমে, এটি অনুমান করা যাচ্ছে না ২০ শে ডিসেম্বর থেকে রেস্তোঁরা ও হোটেল চালু করা সম্ভব হবে কিনা। নতুন সংক্রমন নিয়ন্ত্রনের মধ্যে না আসলে চলমান আংশিক লকডাউন আরো বাড়ানো হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ফেডারেল এবং রাজ্য সরকার প্রধানদের বৈঠকে তা ঠিক করা হবে তিনি জানিয়েন। চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল সকলকে অপ্রয়োজনীয় জনসমাগম এড়িয়ে চলার এবং সম্ভব হলে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেছেন।
এদিকে মধ্য ডিসেম্বরের মধ্যেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ান স্পান। এই লক্ষে জার্মানজুড়ে ভ্যাকসিনবিষয়ক কাঠামোর কাজ শুরু হয়েছে। জার্মানভিত্তিক কোম্পানি বায়োএনটেক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত ওষুধ কোম্পানি ফাইজারের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএডি) ও আমস্টারডামে অবস্থিত ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) কাছে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
এদিকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ জন।