ভাষা আন্দোলনের চেতনাই স্বাধীনতা আন্দোলনে ধাবিত করেছে:পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২১ শে ফেব্রুয়ারির চেতনা থেকেই আমরা স্বাধিকারের আন্দোলনের প্রেরনা পেয়েছি। যখন মানুষের কণ্ঠস্বর ও অধিকারকে উপেক্ষা করা হয় তখন মানুষের আন্দোলন সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে এটি দাবী আদায়ের জন্য একটি গণআন্দোলনে রুপ নেয়। ৫২ এর ভাষা আন্দলনেও তাই হয়েছে। পাকিস্থানের শোষকরা আমাদের মুখের ভাষা কেঁড়ে নিতে চেয়েছিল, আমরা তা আদায় করে নিয়েছি। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানি (বিএফজি) আয়োজিত ভার্চুয়াল আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ এ কে আবদুল মোমেন এমপি কথা বলেন।
তিনি বলেন, তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকরা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা করার চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার জন্য বাঙালিরা প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগ করেছিল, যা আজ ইউনেস্কো বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেননি তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানি উদ্যোগে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনুস আলী খান। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, আইন ও উন্নয়ন গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইসিএলডিএস) এর নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব) মো: আবদুর রশিদ। ইউরোপীয় আওয়ামী লীগে সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা শ্রী আনিল দাশ গুপ্ত।
এছাড়াও সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাইফুল হাসান বদল, ইউকে আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি মশিউর মালেক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্দু, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আসওয়াত আকসির মুজিব, জার্মান সিডিইউ দলের নেতা কার্স্টেন ল্যাঙ্গ, লুকাশ আগস্টিন, প্রফেসর লো ম্যান, জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু, জার্মান আওয়ামী লীগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমিনুর রহমান খসরু, বাংলাদেশ দূতাবাসের সম্মানিত কনসাল জেনারেল হাসনাত মিয়া, সোয়েস্টের জেলা কাউন্সিলের সদস্য শাহাবুদ্দিন মিয়া, বঙ্গবন্ধুর পরিষদ সদস্য ও জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল কবির, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পুলক ও জিল্লুর রহমান, শেখ হাসিনা পরিষদের সভাপতি মনির খান, আমেরিকা থেকে মুক্তিযোদ্ধা মুকিত চৌধুরী প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির উপদেষ্টা বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া এবং এএইচএম আবদুল হাই সম্মেলন সঞ্চালনা করেন। এছাড়াও সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ইউকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সচিব আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং জার্মান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মনির হায়দার, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানি প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা আবু মোহাম্মদ সেলিম, প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল হক, কামাল দেওয়ান, আজহার হোসেন, আলহাজ্ব শেখ আবদুল মতিন, জার্মানি-বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি খান লিটন এবং তানিয়া হামিদ প্রমুখ।
সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিধিদের মধ্যে আরো সংযুক্ত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসমা খান, মনিরুল আলম, টিটু হাকিম, সহ-সভাপতি সোহেল মিয়া, আবদিন জিম্মারম্যান প্রমুখ। সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কনা ইসলাম 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গান পরিবেশন করেন।