করোনা মহামারীতে পুরো বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত ,বর্তমানে প্রতিটি মানুষের শারীরিক মানসিক ও জীবন যাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়।এরই মাঝে সামাজিক অবক্ষয় দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। ইদানিং ইতালিতে ছিনতাই ,চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ,মিলানোতে গত কয়েক মাসে ঘটেছে ছুরিকাঘাত ,চুরি ,ডাকাতি ,ছিনতাই এর মতো বেশ কিছু ক্রাইম। 

করোনা মহামারীতে  লকডাউনে  নীরব নিস্তব্ধ রাস্তায় বেশিরভাগ ক্রাইম গুলো সংগঠিত হচ্ছে। 

গত ২৬ জানুয়ারি রোজ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০ টায় মিলানো প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যাবসায়ী ময়েজুর রহমান এক ছিনতাইকারীর কবলে পরে উপস্থিত বুদ্ধি আর আত্মবিশ্বাসের জন্য রক্ষা  পেয়েছেন। 

তথ্যসূত্রে জানা যায় ব্যাবসায়ি ময়েজ প্রতিদিনের মতো তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসার উদ্দেশ্যে যাবার পথে এক লোক তার কাছে মোবাইল সেট থেকে সিম খোলার জন্য একটি পিন এর খোঁজ করেন কিন্তু ময়েজ ওই লোকটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তার হাটা বন্ধ না করে হাটতে থাকেন তখন ওই ছিনতাইকারী দৌড়ে এসে ময়েজের চোখে স্প্রে করে দেন কিন্তু ময়েজ চোখে ঝাপসা দেখছিলেন তারপরেও তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন এবং দৌড়াতে থাকেন এক পর্যায়ে রাস্তার পাশে একটি বাড়ির গেইট খোলা পেয়ে ঢুকে পড়েন এবং বাড়ির মালিক ছিল চীনের নাগরিক তিনি ময়েজকে সাহায্য করেন এবং পুলিশ এম্বুলেন্স কল করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হাসপাতাল থেকে ফেরার  একদিন পর বুধবার ব্যবসায়ী ময়েজের সাথে কথা বলে জানা যায় তিনি যখন ছিনতাইকারী বুঝতে পেরেছিলেন শুধু দৌড়াচ্ছিলেন কিন্তু দাঁড়িয়ে পড়লেই হয়তো ঘটতে পারতো বড় কোনো দুর্ঘটনা।

 বেশ কিছুদিন আগে মিলানোর স্থানীয় আরো একজন ব্যাবসায়ীর দোকানের ভিতরে ঢুকেও ঘটেছে ছিনতাইয়ের ঘটনা, জোর করে ড্রয়ার খুলে টাকা নিয়ে যাবার সময় ব্যাবসায়ী বাধা দিলে ওই ছিনতাইকারী ব্যাবসায়ী জামাল আহমেদের কানে কামড় বসিয়ে একটি কান শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। এরকম বিভিন্ন রকম একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় মিলানো প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং মিলান বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের চলাফেরা করার সময় সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়ে বিশেষ করে রাতে চলাফেরায় এবং কখনো সন্দেহ হলে সাথে সাথে পুলিশকে কল করে সাহায্য নেবার আহ্বান জানানো হয়। দীর্ঘ লকডাউনে করোনা মহামারীতে এই ধরণের ঘটনায় মিলানবাসী উদ্বিগ্ন।

 উল্লেখ্য  মিলান প্রশাসন এর পক্ষ থেকে রাস্তায় রাস্তায় পুলিশি টহল সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইদানিং আরো বেশি জোরদার করা হয়েছে ।