ইতালিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যু, ১০ শহর নিষিদ্ধ
ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথমবারের মতো একজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশটির ১০ শহর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আদ্রিয়ানো ত্রেভিসান নামের ভেনেতো অঞ্চলের পাদুয়া শহরের হাসপাতালে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত ১৮ জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৭৮ বছর বয়সী আদ্রিয়ানো ছিলেন উত্তর ইতালীর ভেনেতো অঞ্চলের বাসিন্দা। পাদুয়া‘র শহরের যে হাসপাতালে চিকিতসাধীন ছিলেন, ঐ হাসপাতালে আরো একজন ব্যক্তির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হওয়ার খরব জানা গেছে। গতকাল ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পেরানজা বলেন, ১০ দিন আগে ঐ ব্যক্তি অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হোন। এরপরই তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ইতালির উত্তরাঞ্চলের লম্বার্ডিয়া এলাকায় ১৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনার পরপরই ৫০ হাজার মানুষের ১০টি শহর অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসব শহরের জনগণকে বলা হয়েছে, বাড়িতে অবস্থান করতে, স্কুল, বার, চার্চ, সামাজিক অনুষ্ঠানসহ জনসমাগমস্থলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ইতালিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসকও রয়েছেন। ইতালিতে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ঘটা করোনাভাইরাসের প্রথম ঘটনা এটি। যে পাঁচজন চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা কেউ চীন সফর করেননি। পাদুয়া শহর থেকে ওই ভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তবে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে বলেন, ‘অত্যন্ত উচ্চ মাত্রার সাবধানতা’ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, এ ছাড়া সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯–এ এখন পর্যন্ত ৭৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। গত ডিসেম্বরে এ রোগের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৬০ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন এর উৎপত্তিস্থল চীনে। এর বাইরে ১ হাজার ১৫০ রোগী অন্য দেশগুলোয় শনাক্ত হয়েছেন, যার মধ্যে মারা গেছেন আটজন।