ইতালীতে বাংলাদেশী শশীর কৃতিত্ব
ইতালির তরিনো শহরে ১৯৮৮ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে fiera di salone del libro internazionale অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বই মেলা উত্সব। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দানিএল ফিনক্কির পরিচালনায় বিভিন্ন দেশের লেখক/কলামিসট তাদের প্রবন্ধ নিয়ে এই ফেস্টিভালে অংশগ্রহণ করেন। জ্ঞানগর্ভমূলক অনুষ্ঠান যার নাম নির্ধারণ করা হয়েছে (লিঙ্গুয়া মাদরে) Lingua Madre অর্থাৎ মাতৃভাষা। তাহমিনা ইয়াসমিন শশী, যিনি এই বুক ফেস্টিভালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই অংশগ্রহণ করে আসছেন ।
শশী শুরু থেকেই তার প্রতিভা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে সেরা ১০ এ যায়গা করে আসছেন। ২০১৭ সালে তার প্রবন্ধটি প্রথম বই আকারে Lingua Madre seb- ১৭ নামে প্রকাশিত হয়, যা ঐ বছর এবং পরের বছর ২০১৮ সালেও সেরা দশে মেধা তালিকায় যায়গা করে নেন এই গুণী লেখক। যদিও ২০১৯ সালের যাত্রাবিরতির পর আবার ২০২০ সালে মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে তার গৌরব পুনরুদ্ধার করে।
একজন বাংলাদেশী হয়েও ইতালীয় ভাষায় গল্প রচনা করে পুরস্কার জেতা নিঃসেন্দহে কোনো সহজলভ্য কাজ ছিল না । এবছর ২০২০সালে চুলচেরা বিশ্লষণের মাধ্যমে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে লিখার গুণগত মান বিবেচনা করে শশীর প্রবন্ধ তৃতীয় স্থান অর্জন করে । এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের প্রায় ৫ হাজার প্রতিযোগী অংশ নেন। ২০২০ সালে যারা ১ম, ২য়, ৩য় স্থান যারা দখল করেছেন তারা হলেন : Yenifffer Lilibell Aliaga Chavez - Peru (first Award), Bervian Gormez - Alessandra Nucci- ( Turkey and Italy) (2nd Award), TAHMINA YASMIN SHOSHI- Alice Franceschini '- Bangladesh and Italy (3rd Award) এছাড়া যারা পুরস্কার পেয়েছেন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে তারা হলেন, Special award- Silvia Favaretto (Italy), Slow food Terra Madre - carnia, Ardelean ( Romania), Torino Film Festival- Narcissa .v. Ewan ( Poland's). ইতালির ভেনিসে বসবাসরত তাহমিনা ইয়াসমিন শশীর গ্রমের বাড়ি বাংলাদেশের শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাওিকপুর গ্রামে। শশী ১০ বছর যাবত ইতালিতে বসবাস করছেন। তিনি ইতালির মিলান শহরের ক্যাথলিক করেদেল সাক্রো বিশ্ববিদ্যালয় হতে কাফুসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে অধ্যায়নরত আছেন।