অকালে ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণগুলো
মৃত্যুদূত দরজার বাহিরে ,কখন যেন পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিতে হয়, এই আশঙ্কা প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটি মানুষকে কুরে কুরে খাচ্ছে। নেই প্রতিষেধক ,নেই প্রতিকার আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে পুরো বিশ্বে।করোনা ভাইরাস এর হিংস্র থাবায় ঝরে যাচ্ছে হাজার হাজার প্রাণ তার মধ্যে ফুসফুসে আক্রান্ত শাসকষ্ট জনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন হসপিটালে থেকে ইতালির মিলানো ক্রেমোনার, শাহজাহান মির্জা নামের আরো একটি তরতাজা প্রাণ ঝরে গেলো পৃথিবী থেকে।
মরহুমের নিকটস্থ রুমমেট আমাদের নিশ্চিত করেছেন মরহুম মির্জা শাসকষ্টজনিত সমস্যায় মারা গেছেন। এর সত্যতা হাসপাতাল থেকে জানা গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট ,জ্বর নিয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করলেই তাকে করোনা আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উল্লেখ্য মরহুমের নমুনা পরীক্ষায় করোনার কোনো অস্তিত্ব সনাক্ত হয় নাই।আজ ১৬ এপ্রিল ভোর আনুমানিক ৬ টায় ক্রেমোনা হসপিটালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ত্রিশ বছরের তরতাজা প্রাণ উচ্ছল শাহজাহান মির্জার মৃত্যুতে মিলান বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরহুমের দেশের বাড়ি বৃহত্তর সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার মসলিমাবাদ গ্রামে। মরহুম শাহজাহান মির্জা ক্রেমোনাতে বসবাস করতেন তার অকাল মৃত্যুতে দেশের বাড়িতে তার পরিবারে চলছে কান্নার রোল।মরহুমের ভাই ফ্রান্স থেকে শোকার্ত ও কাতর কণ্ঠে তার ভাই এর মরদেহ, ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক দাফন এর ব্যবস্থ্যা করার জন্য, মরহুম শাহজাহান মির্জার রুমমেট সাইফুলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে মরহুমের লাশ দাফন কার্যাবলী সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলছে । মৃত্যুকালে মরহুম শাহজাহান মির্জা নিজ পরিবার সহ বন্ধু বান্ধব আত্মীয় পরিজন সহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ইতালিতে আজ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৫৫ জন ,মৃত্যু বরন করেছে ২১ হাজার ৬৪৫ জন ,সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৮ হাজার ৯২ জন ।ইতালি সরকার করোনার সার্বিক পরিস্থিতিতে লকডাউন এর সময়সীমা ৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।