ইতালিতে বাংলাদেশ কমিউনিটি মিলান এর তহবিল গঠন
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক করোনা ভাইরাস এর মহা তান্ডবে ইতালি আজ বিধ্বস্ত ,আর অজানা আশঙ্কায় একেকটি দিন অতিবাহিত করছে প্রতিটি মানুষ ,বর্তমানে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপসহ পুরো বিশ্বে। বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক করোনা ভাইরাস এর বর্তমান প্রেক্ষাপটে দল, মত নির্বিশেষে “ বাংলাদেশ কমিউনিটি মিলান লম্বারদিয়ার “ উদ্যোগে ইতালিয়ান সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ,পাশাপাশি প্রাকৃতিক এই ভয়াবহ মুহূর্তে অসহায় বাংলাদেশি ভাই বোনদের পাশে ও শক্তহাতে সহায়তার হাত বাড়ানোর দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
করোনা ভাইরাস এর সাথে যুদ্ধ করে ইতিমধ্যে মিলানে বসবাসরত ৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়েছে এছাড়াও কমিউনিটির বেশ কয়েকজন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন আছে। Covid-19 রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয় এবং তাদের চিকিৎসা সেবায় আর্থিক অনুদান ইতালিয়ান সরকারের কাছে হস্তান্তর সহ ,অসহায় বাংলাদেশিদের সাহায্যার্থে মানবিকতার উদ্দেশ্যে উক্ত তহবিল গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কমিউনিটি মিলান এর পক্ষ থেকে এক প্রেস রিলিজে জানানো হয় ,বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক করোনা ভাইরাস এর এই ক্রান্তিকালে ইতালির সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ এবং বাংলাদেশের একজন রেমিটেন্স যোদ্ধার দায়িত্ব ,এই দুয়ের সমন্বয়ে করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধের অংশীদার এই তহবিল গঠন …তহবিলে দান করতে ইচ্ছুকদের সুবিদার্থে নিম্মোক্ত দোকানে আপনার অনুদান পৌঁছাতে পারবেন…..
1-(এশিয়া আফ্রিকান মার্কেট ) প্রোপাইটর -মনির হোসাইন ,যোগাযোগ -3287067922./ Via Petrella -18/Caiazzo.Milano…
2-(আলী গ্রোসারী)প্রোপাইটর –তারা মিয়া, যোগাযোগ -3313386083./Viale Rimembranze-15/Lambrate.Milano….
3-(মিনি মার্কেট ) প্রোপাইটর -উদ্দিন শরীফ,যোগাযোগ –3339843564./Via Dei Transiti -27/Milano….
4-( বিসমিল্লাহ ফোন সেন্টার )প্রোপাইটর -আবদুল মতিন ভূঁইয়া ,যোগাযোগ -3889891954./ Via Don Bosco-35-p/Brenta.Milano….
5-(এ আর আলিমেন্টারী ) প্রোপাইটর -রুহিন আহমেদ ,যোগাযোগ -3290079206/ Via Meda-17/Famagosta.Milano
6-(বাংলাদেশ মিনি আলিমেন্টারি ) প্রোপাইটর- ইব্রাহিম আলী ,যোগাযোগ -3511388634/Via Farini-91/Maciachini.Milano
বর্তমানে ইতালির পরিবেশ অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে আসছে,বর্তমান পরিস্থিতিতে ইতালির সরকার লক ডাউন ৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। দেশটিতে বর্তমান আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৪.৪৮৪ জন, মারা গেছেন ২৪.৫৬৮ জন । সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন প্রায় ৫১ হাজারের মতো।