সিলেটে ২২ মার্চ করোনা সন্ধিগ্ধ যুক্তরাজ্য প্রবাসী মৃত মহিলার শরীরে করোনা ভাইরাসের লক্ষন পাওয়া যায়নি। ২৪ মার্চ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন আইইসিডিআর এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর। একাত্তর জার্নালের নিয়মিত টক শোতে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। চলতি মাসের ৪ তারিখ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন ওই মহিলা। দেশে আসার প্রায় ১৬ দিন পর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর ২২ মার্চ আইইডিসিআর থেকে একটি টিম এসে তার রক্ত, ঘাম ও মুখের লালার নমুনা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু এর আগেই তিনি মারা গেছেন। পরে ওইদিনই নগরীর মানিকপীরের টিলায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী ওই মহিলার দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়। এদিকে, ঢাকা থেকে আসা আইইডিসিআরের একটি টিম মৃত মহিলার শরীরের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সংগৃহিত তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ করা যাবে বলে সে সময় জানিয়েছিলেন তারা। ৬১ বছর বয়স্ক ওই নারীর মৃত্যুকে ঘিরে তাই করোনার উদ্বেগ বেড়েছে সিলেটের মানুষের মধ্যে। ওই নারী যদি সত্যিই করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন, বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশেছেন, সেসব মানুষও আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় আছেন।

ওই নারীর দুই স্বজনকেও কোয়ারেন্টিনে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার এ বিষয়ে জবাব দেবার পর আশঙ্কামুক্ত হলো ওই প্রবাসী পরিবারের। সেই সাথে সিলেটের জন্যও আসলো একটি বড় সুসংবাদ। এর আগে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসুলেশনে থাকা অপর যুক্তরাজ্য প্রবাসীর রিপোর্টও প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। রিপোর্টে আইসোলেশনে থাকা ওই প্রবাসী মহিলার শরীরেও করোনা ভাইরাসের লক্ষন নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।