মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন: 'যুদ্ধ নয় বরং মহামারি ও জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান'
চলমান করোনা মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট সহ অনেকগুলি বিষয়কে সামনে রেখে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ৫৮ তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন। মিউনিখের ঐতিহাসিক হোটেল বায়েরিশার হফে ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের সম্মেলনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ সহ ৩০ টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানরা অংশগ্রহণ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, জাতিসংঘ, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরাও এতে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে এক শত এর অধিক মন্ত্রী অংশগ্রহণ করেছেন এবারের সম্মেলনে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
ক্রমবর্ধমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে রাশিয়ার অংশগ্রহণ নিয়ে সবাই অধীর আগ্রহে থাকলেও রাশিয়া এ বছরের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেনি। তবে বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে সম্মেলেনে অংশগ্রহণ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
১৯৬৩ সাল থেকে জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এই সম্মেলনে। সম্মেলনের সভাপতি ভলফগ্যাং ইসিঙ্গার বলেছেন, ‘সংলাপের মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার যে প্রয়াস আমরা দীর্ঘদিন আগে শুরু করেছিলাম, তার প্রয়োজন এখনো শেষ হয়ে যায়নি।’
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, ‘এ মুহূর্তে যুদ্ধ নয়, বরং বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণ ও জলবায়ু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করা বেশি জরুরি।’ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইউক্রেন সংকট সমাধান সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা আরও বৃদ্ধি করার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জলবায়ু সংকট মোকাবেলা বিষয়ক একটি প্যানেল আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বে নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেছে।