বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
বাংলাদেশ দূতাবাস বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করা হয়।
তারপর রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে নিয়ে প্রতীকী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ থেকে পাঠানো বানী পাঠ করে শুনানো হয়। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব, ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বায়ান্নো’র ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা যায়। রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার বলেন, ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে ১৯৪৭-৪৮, এমনকি দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯৫২ সালে জেলে থেকেও বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্কে জড়িত।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখ বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জীবন উৎসর্গকারী সকল ভাষা শহিদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণায় কয়েকজন প্রবাসী বাঙ্গালির সাথে সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানও স্মরণযোগ্য।
আলোচনা সভার শেষে প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীগণ ২১শের গান, দেশাত্নবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।