সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংকে পাওয়া মাংসের টুকরা মানুষের কি না পরীক্ষা আজ
কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক ভেঙে কয়েক টুকরা মাংস উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। আজ বুধবার মাংসের টুকরোগুলো ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
সূত্র জানায়, মাংস টুকরোগুলো আসলে মানুশের কি না, তা টেস্ট করা হবে। যদি মানুষের হয় তাহলে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হবে। ইতিমধ্যে আনোয়ারুল আজীমের মেয়েকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছে ডিবি।
প্রসঙ্গত, টানা তিনবারের এমপি ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান। পরে তিনি নিখোঁজ হন।
ঢাকা ও কলকাতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পুলিশকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এমপি আনোয়ারুল আজীমকে ১৩ মে সঞ্জীবা গার্ডেনসে আক্তারুজ্জামান শাহীনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে। এরপর দেহ টুকরা টুকরা করেন পেশায় কসাই জিহাদ। পরে হাড় ও মাংসের টুকরাগুলো ফেলা হয় এক জায়গায় এবং মাথা ও খুলি ফেলা হয় অন্য জায়গায়।
পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্র বলছে, হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে কসাই জিহাদ বলেছেন, এমপি আজীমের মরদেহের টুকরাগুলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার পোলেরহাট থানার কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে ফেলা হয়েছে। মাথা ও খুলি অন্য জায়গায় ফেলেছেন ফয়সাল নামের এক যুবক। জিহাদকে নিয়ে ওই খালে তল্লাশি চালিয়েও কিছু পাওয়া যায়নি। তবে মরদেহের অংশবিশেষ উদ্ধারের আশা ছাড়েননি সিআইডির কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, পলাতক ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা গেলে হাড় ও মাথার খুলি পাওয়া যেতে পারে। গতকাল বৈঠকে ঢাকার ডিবির কর্মকর্তাদের এসব কথাই বলেছেন সিআইডির কর্মকর্তারা। ঢাকার ডিবিও এমপির মরদেহের অংশবিশেষ পাওয়ার আশা ছাড়েনি।
ঢাকার তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, রিমান্ডে থাকা আমানউল্লাহ (শিমুল ভূঁইয়া) ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম থেকে এই হত্যারহস্য বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। আবার আমানউল্লাহও একেক সময় একেক কথা বলছেন। ফলে তাঁর বক্তব্যই যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।