লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টের ‘ইংরেজি বলার’ প্রশংসা করে বিতর্কে ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জোসেফ বোয়াকাইয়ের ইংরেজির প্রশংসা করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ জুলাই) হোয়াইট হাউসে আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প বোয়াকাইকে বলেন, ‘এত সুন্দর ইংরেজি, চমৎকার। এত সুন্দর করে কথা বলতে কোথায় শিখলেন?’
লাইবেরিয়া ১৮২২ সাল থেকে আমেরিকান কলোনাইজেশন সোসাইটি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে ১৮৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটিতে বিভিন্ন ভাষা প্রচলিত থাকলেও ইংরেজিই হলো তাদের সরকারি ভাষা। স্বাভাবিকভাবেই লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টের ইংরেজি ভাষায় সাবলীলতা অপ্রত্যাশিত নয়। ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে লাইবেরিয়ার বেশ কয়েকজন নাগরিক অপমানজনক হিসেবে দেখেছেন। বিশেষত আফ্রিকান দেশগুলো সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অতীতের বিতর্কিত মন্তব্যগুলোর সূত্র ধরে। খবর সিএনএনের।
লাইবেরিয়ার একজন যুব অধিকারকর্মী আর্চি তামেল হ্যারিস সিএনএনকে বলেন, আমি অপমানিত বোধ করেছি কারণ আমাদের দেশ একটি ইংরেজিভাষী দেশ। তার এই প্রশ্নকে আমি প্রশংসা হিসেবে দেখছি না। আমার মনে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও পশ্চিমা বিশ্বের মানুষ এখনও আফ্রিকানদের অশিক্ষিত হিসেবে দেখে।
তবে হোয়াইট হাউজের প্রেস অফিস ট্রাম্পের বক্তব্যকে সমর্থন করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের আফ্রিকার সিনিয়র উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস সিএনএনকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে আফ্রিকান নেতারা প্রশংসা হিসেবেই দেখেছেন। হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনা কেলি এটিকে একটি ‘আন্তরিক প্রশংসা’ বলে অভিহিত করেছেন।
লাইবেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারা বেইসোলও নিয়ান্টি সিএনএনকে বলেছেন, লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো অপমান হয়নি। অনেক মানুষ আফ্রিকান মহাদেশের ভাষাগত সীমানা বা ভাষাগত জনসংখ্যার পরিসংখ্যান বোঝেন না।
ট্রাম্প এর আগেও কূটনৈতিক বৈঠকে অন্যান্য নেতাদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। তবে ২০১৮ সালে আফ্রিকান দেশগুলো ‘শীতল দেশ’ বলে উল্লেখ করে বিতর্কিত হয়েছিলেন।
যদিও এই বৈঠকগুলোতে ট্রাম্প আফ্রিকার দেশগুলোকে ‘খুব প্রাণবন্ত স্থান যেখানে মূল্যবান জমি, দুর্দান্ত খনিজ, দুর্দান্ত তেল ভাণ্ডার ও চমৎকার মানুষ রয়েছে’ বলে প্রশংসা করেছেন। তবু তার মন্তব্যের ধরন নতুন করে আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।