দুবাইয়ে বিয়ের জন্য ১০ দিনের ছুটি, মানতে হবে যেসব শর্ত

বিয়ের জন্য এখন থেকে ১০ দিনের বিশেষ ছুটি পাবেন দুবাই সরকারের কর্মীরা। বিয়ের কাবিন হওয়ার পর এক বছরের মধ্যে যেকোনো সময় একটানা বা ভেঙে ভেঙে এই ছুটি নেওয়া যাবে।
গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) দুবাইয়ের শাসক, সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এই নতুন আইনের ঘোষণা দিয়েছেন। খবর গালফ নিউজের।
এই নতুন আইনটি দুবাই সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশেষ উন্নয়ন এলাকা ও ফ্রি জোনগুলোর (যেমন দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল সেন্টার) অধীন কাজ করা আমিরাতি কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। আমিরাতের বিচার বিভাগের সদস্য ও সামরিক কর্মীরাও এই ছুটির সুবিধা পাবেন।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীরা পূর্ণ বেতনে এই ১০ দিনের ছুটি পাবেন। চাইলে তাদের অন্য কোনো ছুটির সঙ্গে এটি যুক্ত করতে পারবেন।
তবে এই ছুটি পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে। কর্মীকে অবশ্যই দুবাই সরকারের কর্মী হতে হবে। তার জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনীকেও আমিরাতি নাগরিক হতে হবে। কর্মীকে তার শিক্ষানবিশ বা প্রবেশন পিরিয়ড সফলভাবে শেষ করতে হবে। এছাড়া বিয়ের চুক্তিটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে।
কর্মীরা তাদের বিয়ের চুক্তি হওয়ার পর এক বছরের মধ্যে যেকোনো সময় একটানা বা ভেঙে ভেঙে এই ছুটি নিতে পারবেন। এর ফলে কর্মীদের পারিবারিক জীবনে স্থিতিশীলতা আসবে। একইসঙ্গে পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও সুন্দর হবে।
এই আইনে আরও বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে বিবাহ ছুটির সময় কাজে ডাকা যাবে না। যদি সামরিক কর্মীদের ডাকা হয়, তাহলে তাদের কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হবে। যদি কোনো কর্মী অন্য সরকারি সংস্থায় বদলি হন এবং আগের সংস্থায় থাকাকালীন এই ছুটি না নিয়ে থাকেন, তাহলে নতুন সংস্থায়ও তিনি এই ছুটির সুবিধা পাবেন।এই নতুন আইনটি ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়।