দোয়ারাবাজারে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ঘিলাতলী নদীর অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু !
![](https://europentv.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/06/30/screenshot_2024-06-29-12-28-19-20_965bbf4d18d205f782c6b8409c5773a4_1.jpg?itok=cQClqqxx×tamp=1719757663)
মোঃ আবু বকর, দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ বাংলাবাজার -নরসিংপুর সড়কের ঘিলাতলী নদীর সেতুটির কাজ সমাপ্ত থাকলে,অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ অসমাপ্ত থাকায় সেতুটির সংযোগ বিচ্চিন্ন
হয়ে পড়ে । মূল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হলেও সেতুর দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় কোনো কাজে আসছে না ঘিলাতলী নদীর সেতুটি। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর দুই পাশ্বের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ পুরোপুরি না হলেও অধিকাংশই সমাপ্তির দিকে। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলে অনেক টা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় উপজেলা প্রকৌশলী অধিদফতর কতৃক জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত অর্থে নির্মিত প্রায় ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যায়ে বাংলাবাজার -নরসিংপুর সড়কের ঘিলাতলী নদীর উপর ৫১ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে। সড়কটি দিয়ে বাংলাবাজার,নরসিংপুর, বোগলাবাজার ও লক্ষীপুর ইউনিয়নসহ,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বাশতলা হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ,হকনগর বাজার,চৌধুরীপাড়া বাজার,কলাউড়া মার্কেট,বাংলাবাজার, বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঘিলাছড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দ্বীনেরটুক মাদ্রাসা ও কলাউড়া কাসিমিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীসহ লাখো মানুষ ও যান চলাচল করে থাকেন।এবং ছাতক উপজেলার ইছামতী, শারপিনটিলা কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ ও উপজেলার সদরে যাতায়াতের অন্যতম একটি সড়ক ব্যবস্থা রয়েছে। ঘিলাতলী সেতুর সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রুচ) তৈরি করায় জনগণের দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করায় এ অঞ্চলের ভাগ্য পরিবর্তন। সেতুটির এপ্রোচ সড়ক না থাকায় যানবাহনসহ পথচারীরা চলাচল করছে সেতুর নিচ দিয়ে দীর্ঘদিন। তবে ঘিলাতলী সেতুর সংযোগ সড়ক করা হলে এসব এলাকার মানুষের ভোগান্তি কমে যাবে। চলাচলের জন্য সুবিধা হবে,যাতায়াত যানবাহন ও মানুষের মাঝে স্থানীয়রা মনে করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা অটোরিকশা চালকগন বলেন, সেতু থাকতেও আমাদের চলাচলে অনেক কষ্টর দিন টিদীর্ঘদিন পর আমাদের সরকার অ্যাপ্রুচ সড়কের কাজ শুরু করায় এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে।
এই সেতু নির্মাণের আগে নৌকায় যেভাবে পাড় হয়েছি এখনও সেতুতে সড়ক না থাকায় একইভাবে পারাপার হতে হচ্ছে।সেই ভোগান্তির হাত থেকে সরকার রক্ষা করায় উত্তর সুরমার মানুষের মুখে হাশি।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নূরুল ইসলাম বলেন, এপ্রোচ সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান দ্রুত গতিতে এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি)উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হামিদ বলেন, এপ্রোচ সড়কের মাটি ভরাট ও পাকাকরণ করার লক্ষে যথাযথভাবে এপ্রোচ সড়কটি দ্রুত গতিতে কাজ সমাপ্ত করে জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।