সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দু দফায় বন্যার পানি কমলেও পর্যটকসহ সর্ব সাধারণের চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও হাওরের ঢেউয়ে সড়কের পানি কমে যাওয়ায় ভেঁসে উঠেছে সড়ক ও বসতবাড়ি ক্ষত চিন্হ। উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে ৩৬ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের ফলে ভাঙ্গাচোরা সড়কে যাতায়াত করতে গিয়ে গিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকসহ স্থানীয় মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এছাড়াও এসব সড়কে পায়ে হেঁটেও চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে বল খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ তাহিরপুর বাদাঘাট সড়কে গত ৩ যুগ ধরে সড়ক পথে চলাচলে চরম দুর্ভোগ শিকার হচ্ছে মানুষ এর মধ্যে দুই দফা বন্যায় সূর্যেরগাও থেকে-ইসলামপুর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক, বারেকটিলায় থেকে বাগলী পর্যন্ত সড়কে বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪ কিলোমিটার ভেঙে গেছে,বালিজুরী -আনোয়ারপুর সড়কের দেড় কিলোমিটার বিটুমিন উঠেগেছে। নতুন বাজার থেকে কাউকান্দি বাজার পর্যন্ত পাহাড়ি ঢল ও মাটিয়ান হাওড়ের ঢেউয়ে ৩ কিলোমিটারের বেশি বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। শনি ও মাটিয়ান হাওরের ঢেউয়ে ভাটি তাহিরপুর ও ঠাকুরহাটি গ্রামের সামনে ১ কিলোমিটারের বেশি পাকা সড়ক ভেঙে গেছে। আনোয়ারপুর দক্ষিনকুল স্কুল ও খেয়াঘাট সড়কে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরে এর ফলে ঐসব ভাঙাচোরা সড়ক পথ দিয়ে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। 

শামিম আহমেদ জানান,নতুন বাজার থেকে কাউকান্দি সড়কে বন্যার সময় পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোতে একাধিক সড়ক পথ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। মেরামত না করা পর্যন্ত আমাদের দূর্ভোগের শেষ থাকবে না বারেকটি থেকে বাগলী সড়কে চলাচলকারী মোটরসাইকেল শফিক মিয়া,অটোরিকশা চালক জামিল আহমেদ জানান,ভারত থেকে নেমে আসা ছড়া দিয়ে প্রবল বেগে পানি নামার কারনে এই সড়কে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে যাওয়ায় আমরা স্থানীয় বাসিন্দাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটক নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। টাঙ্গুয়ার হাওর,শহীদ সিরাজ লেক,ট্যাকেরঘাট, বারেকটিলায় ঘুরতে আসা পর্যটক জাহিদ হোসেন জানান,সীমান্ত সড়ক পথে বেহাল অবস্থা পূর্বেও ছিল বন্যায় অনেক স্থানে ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের সড়ক পথে ভোগান্তি বেড়েছে। তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আরিফ উল্ল্যা খান জানিয়েছেন,পাহাড়ী ঢলের পানি ও বন্যায় উপজেলায় ৩৬ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উর্ধবতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্ষাকালে ক্ষতি গ্রস্থ সড়ক সংস্কার করা সম্ভব না আর এখনও পানিতে তলিয়ে আছে অনেক সড়ক। তবে শুষ্ক মৌসুমে সড়ক মেরামত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি