কুলাউড়ায় চেয়ারম্যানের অপসারণ চান ইউপি সদস্যরা
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য খোরশেদ আহমদ খান সুইটের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব এনে অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালামের কাছে ১২ ইউপি সদস্যরা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুলাউড়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহীনির ক্যাপ্টেন বরাবরেও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আহমদ খান সুইট সরকারী সম্পদ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, ইউনিয়নের নির্বাচিত সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন কর আদায় বাবদ প্রায় ১২ লক্ষ টাকা এককভাবে আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিটি চালের কেরিংয়ের ৮৩ হাজার আটশত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে পরিষদের মাসিক সভায় সকল ওয়ার্ডের সদস্য প্রতিবাদ করলে তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এড়িয়ে যেতেন। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে গভীর নলকূপ বরাদ্দে অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় তিনি উল্টো ইউপি সদস্যদের হুমকি প্রদান করেন।
ইউপি সদস্যরা অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করেন, টিআর,কাবিখা, কাবিটা প্রকল্প গ্রহণ করে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছামাফিক প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন সনদ প্রদানে নির্ধারিত ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান খোরশেদ আহমদ খান সুইট বলেন, আমার জানামতে কোন অনিয়ম করিনি। পরিষদে যা প্রকল্প ও বরাদ্দ এসেছে তা পরিষদের সকল সদস্যদের মাধ্যমে করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১২ ইউপি সদস্য কর্তৃক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তক্রমে বিধি অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।