সুনামগঞ্জের হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসক সংকট,মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরাই ভরসা

তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি : স্বাস্থ্য সেবা বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে সুনামগঞ্জের হাসপাতাল গুলোতে। চিকিৎসকসহ জনবল সংকটে মুখ থুবড়ে পড়ছে দিন দিন। হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় কতৃপক্ষ হাসপাতালে আগত রোগীদের মেডিকেল অফিসার এর পাশাপাশি মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন। মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরাই এখন হাসপাতাল গুলোতে একমাত্র ভরসা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর,জামালগঞ্জ ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা,নার্সসহ জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। এছাড়াও আধুনিক যন্ত্রপাতি যে সকল হাসপাতাল গুলোতে আছে সেগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। নষ্ট হচ্ছে রোমের ভেতর থেকেই। হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। এই সংকট কাঠিয়ে উঠতে জেলা সদর হাসপাতালসহ প্রতিটি হাসপাতালে আগত বিপুল সংখক চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মানুষজনকে মেডিকেল অফিসারদের পাশাপাশি মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরা চিকিৎসা দিচ্ছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসক না থাকায় সিলেটে চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হচ্ছে সর্বস্তরের জনগণকে।
জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ী গ্রামের বাসিন্দা সফিউল মিয়াসহ অনেকেই সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন জন জানান,উপজেলা থেকে জেলায় এসেও ডাক্তার নাই ভাল চিকিৎসা সেবা পাই না। মেডিকেল অফিসার দের সাথে থাকা মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরা চিকিৎসা দেয়। ভাল ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত চিকিৎসক নাই এইটা বেশি বেশি করে লেখেন যাতে বিভিন্ন রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার পাই,চিকিৎসা পাই। চিকিৎসা দেয়া মেডিকেল এসিস্ট্যান্টকে আবার ভুয়া ডাক্তার বলে প্রচার দিয়েন না। তাহলে হাসপাতালে আসাই বন্ধ করে দিবে অসহায় মানুষজন। আর হাসপাতালে দালালদের প্রতিহত করা ধরকার।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আউটডোরে ডাঃ জহর লাল রায় আগত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন। তাকে পাশে বসে সহায়তা করার জন্য চিকিৎসা দিচ্ছে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন। শুধু ডাক্তার জহর লাল রায় এই নয় প্রতিটি রোমে থাকা মেডিকেল অফিসার গনের সাথে বসে মেডিকেল এসিস্ট্যান্টগন চিকিৎসা দিচ্ছে। মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট মেহেদী হাসানসহ কর্মরতরা জানান,স্যার দের পরামর্শ নিয়ে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সেবা সবাইকে দিতেই মানবসেবার জন্যই কাজ করছি হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট থাকায়।
ডাঃ জহর লাল রায় জানান,আমাদের সবোচ্ছ সেবা দিচ্ছি। পাশাপাশি মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট যারা আছে তারা আমাদের পরামর্শে আগত প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে এতে করে আমাদের উপর চাপ কিছু টা কমে। তারাও কিছু শিকতে পারছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুমন চন্দ্র বর্মন ও তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মির্জা রিয়াদ হাসান জানান,চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পদে জনবল সংকটের মধ্যে আমরা কর্মরতগন সবোচ্ছ সেবা টাই দেবার চেষ্টা করছি আগত মানুষদেরকে। চিকিৎসকসহ জনবল বৃদ্ধি করা হলে সেবা গ্রহিতাগন আর দ্রুত সেবা পাবেন।
২৫০শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান স্বপন হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট থাকায় মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট মিলে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান,মেডিকেল এসিস্ট্যান্টগন চিকিৎসা সেবা দেয়ার অনুমতি আছে। তারা আমাদের এই চিকিৎসক সংকটের মধ্যে পাশে থাকায় আগত হাজার হাজার রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে সহজ হচ্ছে। অনেকেই আবার তাদের ভুয়া ডাক্তার বলে প্রচার করে যা সঠিক নয়।