ছাতকে অটোতে তুলে কিশোরীকে গণধর্ষণ

মোঃ তাজিদুল ইসলাম : ছাতকে এক কিশোরীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে হাত-পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ মুখ বেঁধে পালাত্রুমে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে ঘটনার মূল নায়ককে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে বুধবার বিকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির দীঘলী রামপুর সাদা পুলের একটি গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সিলেট থেকে ওই কিশোরী গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে আসেন। এখান থেকে দক্ষিণ খুরমা ইউপির ভুইগাঁও গ্রামে যেতে সিএনজিতে ওঠে। তাকে গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জ রাস্তা দিয়ে না গিয়ে সিলেটমুখী হয়ে চলে যায়। গোবিন্দগঞ্জ সাদাপুলের সামনে ৩-৪ জন যুবক এসে হাত-পা চোখ-মুখ বেঁধে জোরপূর্বক একটি গ্যারেজে নিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। তার চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে এসে মূলহোতা রুহুল আমিনকে আটক করেছে। রুহুল আমিন উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউপির দীঘলী রামপুর গ্রামের মৃত নুর হোসেনের পুত্র।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি মোখলেছুর রহমান আকন্দ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনার মূলহোতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।