জামালগঞ্জে মাদক বিক্রি ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসীর প্রতিবাদ সভা

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের বাউল দুঃখী ফারুক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও উঠেছে। এতে করে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওই ইউনিয়নের কামিনী পুর গ্রামবাসীর দাবি, যারা এলাকায় মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে হয়রানি করতেই এই মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কামিনীপুর বাজারে ওই মাদক বিক্রেতা ও তার সহযোগীদের মাদক ব্যবসা বন্ধের দাবিতে মাদকবিরোধী একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বক্তারা বলেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাউল দুঃখী ফারুক নামে এক জন ও তার সহযোগীরা মাদক কারবার চালিয়ে আসছে। এতে স্থানীয় যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। গ্রামের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় অপরাধ গড়ে তুলেছে। এতে যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পড়ছে। তারা আরো বলেন, আমাদের এই গ্রামে আগে কোনো মাদক বিক্রি হতো না। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ যুবক ইয়াবা, গাঁজা ও মদসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্তি হয়ে পড়েছে। মাদক বিক্রি এলাকায় ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলায় দুঃখী ফারুকের পক্ষ নিয়ে আবুল হোসেন ভূঁইয়া (সাবেক মেম্বার) গ্রামের জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করাটা দুঃখজনক। এতে সন্দেহ হয় আবুল হোসেন ভূঁইয়া মেম্বার এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আছে কি-না। অবশ্য আবুল হোসেন মেম্বার এসবের সাথে জড়িত নেই বলে দাবী করেন। তারা আরো বলেন, বাউল দুঃখী ফারুক মাদকসহ গ্রেফতারের পর জামিনে এসে প্রতিবাদকারী জাকির হোসেন ও তার ছেলে সহ কয়েক জনে নামের মিথ্যা মামলা দায়েরেরও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন গ্রামবাসী। এ অবস্থায় তারা মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রতিবাদ সভায় ভুক্তভোগী জাকির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, গত মাসে কামিনীপুর গ্রামে জামালগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে মাদক বিক্রির অপরাধে হাতেনাতে গাঁজাসহ আটক হন মৃত আব্দুল করিমের ছেলে বাউল দুঃখী ফারুক। এসময় ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত থাকায় পুলিশ জব্দ তালিকায় স্বাক্ষী হিসেবে আমাকে স্বাক্ষর দিতে বললে আমি স্বাক্ষর করি। এতে দুঃখী ফারুক ক্ষিপ্ত হয়। কিছুদিন জেল খেটে জামিনে এসে আমি স্বাক্ষী হওয়ায় আমাকে নিয়ে সে গানের ছন্দ লিখেন ও সেই গান গ্রামে পরিবেশন করার চেষ্টা করলে আমরা তাকে পূনরায় মাদক বিক্রি ও আমাকে নিয়ে গ্রামে গান পরিবেশন করতে বাঁধা নিষে করলে সে আমার ছেলে, ভাই ও গ্রামের লোকের সাথে বাকবিতন্ডার করে। এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে মাদক কারবারির পক্ষ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা করেন সাবেক ইউপি মেম্বার আবুল হোসেন ভূঁইয়া।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমার ভাই ভাতিজার নামে থানায় অভিযোগ করার কারনে আমিও ক্ষোভে পাল্টা মামলা করেছি। প্রতিবাদ সভায় গ্রামবাসী আমার উপর যে অভিযোগ করেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা-বানোয়াট।