ইংল্যান্ডের কয়েকটি অঞ্চলে প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে জরুরী করোনা টেস্টের আওতায় আনা হচ্ছে
দক্ষিণ আফ্রিকায় সনাক্তকৃত করোনার নতুন ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ইংল্যান্ডে আগেই সনাক্ত হয়েছে। পূর্বে সনাক্তকৃত প্রায় সবাই দক্ষিন আফ্রিকা ফেরত। তবে আজ যে ১৬ জনের দেহে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে তাদের কারোরই দেশটিতে ভ্রমনের ইতিহাস নেই।
নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ন্ত্রনে এবং দ্রুত সনাক্তের অংশ হিসেবে ইংল্যান্ডের কয়েকটি নির্ধারিত অঞ্চলে প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে জরুরী করোনা টেস্টের আওতায় আনা হচ্ছে। সারে, লন্ডন, কেন্ট, হার্টফোর্ডশায়ার, সাউথপোর্ট এবং ওয়েলসের বিভিন্ন পোস্টকোড এর বাসিন্দাদরে কোন উপসর্গ না থাকলেও এই টেস্টের আওতায় আনা হচ্ছে।
হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, করোনার নতুন এই ধরন নিয়ন্ত্রনে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে।নতুন ভ্যারিয়েন্টে যাতে কমিউনিটিতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য নির্ধারিত অঞ্চলের সবাইকে টেস্ট করার জন্য আহবান জানিয়েছেন পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের ডঃ সুজান হপকিন্স।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন,চরম বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের আরো কিছু সময়ের জন্য করোনার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। তবে মি: জনসন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন ,সবকিছু ঠিক থাকলে ব্রিটেনবাসী এই বছর গ্রীষ্মকালীন ছুটি সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারবে।
গত ডিসেম্বর মাসে ইংল্যান্ডে দক্ষিন আফ্রিকায় সনাক্তকৃত নতুন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্তের পর প্রথমে ক্ষিণ আফ্রিকা এবং পরে ক্ষিণ আফ্রিকার অন্য শেগুলো থেকে ভ্রমনকারীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।