সমুদ্রসৈকত, পার্ক ও স্কুলের কাছে ধূমপান নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স

শিশুরা সচরাচর যাতায়াত করে, এমন সব জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে ফ্রান্স। দেশটির স্বাস্থ্য ও পরিবারবিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ভত্রাঁ এমনটি বলেছেন।
আগামী ১ জুলাই থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এসব জায়গার আওতায় থাকবে সমুদ্রসৈকত, পার্ক, উন্মুক্ত উদ্যান, স্কুলের বাইরের এলাকা, বাসস্টপ এবং খেলার জায়গা।
ওয়েস্ট-ফ্রান্স দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যাথরিন ভত্রাঁ বলেন, ‘যেখানে শিশুরা থাকে, সেখানে তামাকের অস্তিত্ব থাকা চলবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধূমপানের স্বাধীনতা সেখানে শেষ হওয়া উচিত, যেখানে শিশুদের নির্মল বাতাসে নিশ্বাস নেওয়ার স্বাধীনতা শুরু হয়।’
এই মন্ত্রী বলেন, ক্যাফে ও বারের বাইরের অংশ এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। এই নিয়ম ভাঙলে ১৩৫ ইউরো জরিমানা গুনতে হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৮ হাজার টাকার বেশি। সাধারণ পুলিশ এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করবে। তবে মানুষ এ নিয়ম মেনে চলবে বলে আশা করছেন তিনি।
তবে ই-সিগারেট এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে না। ক্যাথরিন বলেন, ই-সিগারেটে নিকোটিনের পরিমাণ সীমিত করতে কাজ করছেন।
ফরাসি মাদক ও মাদকাসক্তি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সে প্রতিদিন ২৩ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ ধূমপান করেন, যা এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। ২০১৪ সালের পর এই হার ৫ শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে।
ফ্রান্সের ন্যাশনাল কমিটি অ্যাগেইনস্ট স্মোকিং জানায়, প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ৭৫ হাজারের বেশি ধূমপায়ী মারা যান, দেশটিতে যা মোট মৃত্যুর ১৩ শতাংশ।
ফ্রান্সের রেস্তোরাঁ ও নাইটক্লাবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোয় ধূমপান ২০০৮ সাল থেকেই নিষিদ্ধ।
২০২৪ সালে সমুদ্রসৈকত, পার্ক ও অন্যান্য খালি জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করার ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল ফ্রান্স সরকারের। কিন্তু সে সময় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তবে ইতিমধ্যে দেড় হাজারের বেশি পৌরসভা স্বেচ্ছায় খোলা জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে এবং ফ্রান্সের শত শত সমুদ্রসৈকত কয়েক বছর ধরেই ধূমপানমুক্ত।