জার্মানিতে করোনা সংক্রমন দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে অনেকটাই ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে । এমতাবস্থায় ফেডারেল এবং সকল রাজ্য সরকার নতুন সংক্রমন ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুধবার ৪ ঘণ্টা ব্যাপী আলোচনা শেষে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল এবং রাজ্য সরকার প্রধানরা ২ নভেম্বর সোমবার থেকে দেশব্যাপী লকডাউন সহ বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। 

যার মধ্যে ২ নভেম্বর থেকে পুরা মাসব্যাপী রেস্তোঁরা, বার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে দিন থেকে কেবলমাত্র দুই পরিবারের লোকদের বাইরে বাইরে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফিটনেস স্টুডিওস, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে মাসব্যাপী। বিনোদন কেন্দ্র এবং সকল ইভেন্ট পুরো জার্মানি জুড়েই নিষিদ্ধ থাকছে নভেম্বর মাসে। তবে রেস্তোঁরা, বার, থিয়েটার বন্ধ থাকলেও আপাতত খোলা থাকছে স্কুল। 

বুধবার চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল সংবাদ সমেলনে বলেন আমাদের সম্মিলিতভাবে কঠোর চেষ্টা করতে হবে যেনো যেকোনো উপায়ে সংক্রমন নিয়ন্ত্রনের মধ্যে নিয়ে আসা যায়। তিনি বলেন নতুন সংক্রমণের সংখ্যা প্রথমে স্থিতিশীল হতে হবে এবং তারপরে আরও কমতে হবে। তবেই স্বাস্থ্য তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকবে। এছাড়াও, জনগণকে "অপ্রয়োজনীয়" ব্যক্তিগত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল। 

এদিকে দেশটিতে প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ কভিড ১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন। ২৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) জার্মানিতে একদিনে ১৪ হাজার ৯৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত দেশটিতে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ৩ লাখ ৩৩ হাজার আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১০ হাজার ৩৬০জন।