কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে জার্মানিকে বিনিয়োগের আহ্বান: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে জার্মানিকে বিনিয়োগ ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। জার্মানিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের রপ্তানি ও বাণিজ্যের সুযোগ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
সম্মেলনে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান কনস্ট্যাঞ্জা জেহরিঙ্গার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্সের জেন্স ওডিং, বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সেলর মো: সাইফুল ইসলাম, গ্রোবাল গ্যাপের (জিএপি) সিইও/প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান ম্যুলার, ইউএসএআইডি বাংলাদেশের অনিরুদ্ধ রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া জার্মান এগ্রিবিজনেস অ্যালায়েন্স, গ্লোবাল গ্যাপ, ইউএসএআইডি, বাপা, বাংলাদেশের তাজা ফল ও শাকসবজি রফতানিকারক সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ এ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস জার্মানি এবং জার্মান এগ্রি বিজনেস অ্যালায়েন্সকে ধন্যবাদ জানান। মন্ত্রী বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ইউরোপের প্রথম স্বীকৃতদানকারী রাষ্ট্র। ইউরোপের মধ্যে জার্মানিতেই বাংলাদেশের রফতানি সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্বের কারণে বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং সবজি ও ফল উৎপাদনে পৃথিবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে গ্যাপ (জিএপি) নীতিমালা অনুমোদন করেছে। ফলে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের রপ্তানি বহুগুণে বৃদ্ধির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসতে হবে।
রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কৃষিতে আধুনিকায়নের ফলে বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল খাদ্যশস্য ও নানা জাতীয় সবজী উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশের ফল ও সবজি জার্মানিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, এসব দেশে রপ্তানি করতে হলে দ্রব্যের মান সার্টিফিকেশন সঠিক হতে হবে। বাংলাদেশের উন্নত জাতের আম ও আনারস ইউরোপের বাজারে ব্যবসায়ীক সাফল্য নিয়েও রাষ্ট্রদূত আশাবাদ জ্ঞাপন করেছেন।