জার্মানি থেকে: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জার্মানি শাখার উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলাওয়াতের পর ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জার্মান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শেখ রাসেল পরিষদ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

জার্মানি আওয়ামীলীগের সভাপতি বসিরুল আলম চৌধুরী সাবুর সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা ও সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি শ্রী অনিল দাশ গুপ্ত এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মানি আওয়ামীলীগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু, সিনিয়র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, সিনিয়র উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন হায়দার মনি ও উপদেষ্টা সরদার আলী আহমেদ। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী চৌধুরী। শোক দিবসের আলোচনা সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবুল মোল্লা ও কেন্দ্রীয় জার্মান আওয়ামী লীগের সদস্য ফরিদ শিহাব হোসেন। 

এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনুস আলী খান, সিনিয়র সহ সভাপতি ও জার্মান আওয়ামী লীগের হেসেন শাখার সভাপতি নুরে হাসনাত শিপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম পুলক, সিনিয়র সহ-সভাপতি জিল্লুর রহমান, সিনিয়র-সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-সভাপতি মাবু চৌধুরী, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি আসমা ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামশেস আলম রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জার্মান আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক কায়সার উল আলম, পরিবেশ সম্পাদক পাঙ্কজ দেব নাথ, কার্যকরী সদস্য বোরহান খান, হেসেন শাখার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব, কার্যকরী সদস্য মান্নান খান, স্টুটগার্ট শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম মিল্টন, আবুল কালাম আজাদ, মহসিন খান সহ আরো অনেকে।

সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই আমরা একটি স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক হতে পেরেছি। তারা বলেন, ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল। তারা বলেন, ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করালেও তার স্বপ্ন ও আদর্শ আজ ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। 

আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন, সে দেশের উন্নয়নের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাঁরা বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে  দ্রুত রায় কার্যকরের জোর দাবী জানান। এছাড়াও যারা এই হত্যাকাণ্ডের পেছন থেকে ইন্ধন দিয়েছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকেও দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবী জানান জার্মান আওয়ামীলীগের নেতারা।