জার্মানিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে আটশত

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কভিড ১৯ বা করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮৪৭ জন। দেশটির ১৬ টি প্রদেশ এর মধ্যে ইতিমধ্যে ১৫ টি প্রদেশেই এই ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। একমাত্র স্যাক্সনি অ্যানহাল্ট প্রদেশে এখনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংক্রামক রোগ নির্ণয়ক ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সরকারী প্রতিষ্ঠান রবার্ট কচ ইন্সটিটিউট। তবে জার্মানিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখনো কেউ মৃত্যু বরন করেনি। তবে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় অর্ধশত জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
সব চেয়ে বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এ রাজ্যে ৩৯২ জন করনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই রাজ্যের একটি এলাকা হাইন্সবেরগে ব্যাপকভাবে সংক্রামিত হয়েছে এই ভাইরাসটি। জনবহুল এ রাজ্যটিতে কয়েকটি স্কুল এবং ডে কেয়ার সেন্টারে কয়েকজন কর্মীর করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ায় সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে বাডেমবুটেমবার্গ (আক্রান্তের সংখ্যা ১৮২ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে বেভারিয়া বা বায়ান মিউনিখ (আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৮ জন)।

এছাড়াও গতকাল শুক্রবার থেকে হেসেন প্রদেশের রিম্বাখে অবস্থিত মার্টিন লুথার স্কুলের সপ্তম ক্লাসের ৯৯ জন ছাত্র এবং তাদের সাথে থাকা দশ তত্ত্বাবধায়ককে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষা সফর থেকে ফেরার পরে সতর্কতা অবলম্বনের কারণে কোয়ানটিন করে রাখা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে শিক্ষা সফরে তাদের এক সহপাঠী করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল।
ভাইরাসের সংক্রামন ঠেকাতে এরই মধ্যে বার্লিন আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা, লাইফজিক বুক ফেয়ার, হেনভার আন্তর্জাতিক ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ার সহ বেশ কয়েকটি বড় বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্ট বাতিল করা হয়েছে। জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের কারনে।
এদিকে জার্মানিব্যাপী প্রাণঘাতী এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে সবখানে। জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পাহন একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন "ভাইরাসটি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চাপের মধ্যে ফেলবে। সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের কারণে জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও কিছুটা আতঙ্কে রয়েছেন।