করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ সফল ভাবে মোকাবেলা করলেও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউয়ে হিমশিম খাচ্ছে জার্মানি। তাই করোনা সংকটের তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে সংসদে ব্যাপক যুক্তিতর্কের পর ‘ইমারজেন্সি ব্রেক' নামে একটি আইন অনুমোদিত হয়েছে। নতুন এই আইনের ফলে সংক্রমণ বাড়লেই রাতে কারফিউসহ একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ আরোপিত হবে। বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চ কক্ষ ও প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের পর এই আইনটি পাশ হয় যা শনিবার থেকে কার্যকর হবে।  

নতুন এই আইন অনুযায়ী প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার ১০০ হলেই রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন জিনিসপত্র কিনতে করোনা পরীক্ষার নেতিবাচক ফলাফল দেখিয়ে দোকানে প্রবেশ করতে হবে অথবা আগে থেকে অর্ডার দিয়ে দোকান থেকে সেগুলি সংগ্রহ করা যাবে। একটি পরিবারের সাথে অন্য পরিবারের মাত্র একজন দেখা করতে পারবে। আবার সংখ্যাটি ১৬৫ হলেই স্কুল বন্ধ সহ আরো বেশ কিছু কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করা হবে। তবে পর পর পাঁচ দিন সেই হার একশোর নীচে নামলে ফেডারেল আইন অনুযায়ী আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে।

এদিকে করোনা মেকাবেলা করতে ‘ইমারজেন্সি ব্রেক' নামের এই আইনটির বিরুদ্ধে কিছু সমালোচনাও চলছে। আইনটি পাশ হওয়ার পর রাজধানী বার্লিনে ৮ হাজারের মতো মানুষ এই আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।   

এদিকে নানা বিধিনিষেধ সত্ত্বেও করোনা সংক্রমন বেঁড়েই চলছে দেশটিতে। বৃহস্পতিবার দেশটিতে ২৯৩৮২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আর শুক্রবার এ সংখ্যা প্রায় ২৫ হাজার। দেশটিতে শুক্রবার পর্যন্ত ২২.২ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা পেয়েছেন তবে জুন মাসের মধ্যে সবার জন্য করোনার টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান।