জার্মানিতে প্রবাসী শিরিন হোসাইনের কৃষি আঙ্গিনা
হাবিবুল্লাহ আল বাহার, (ফ্রাঙ্কফুর্ট) জার্মানি থেকে: রাজশাহী তাহেরপুরের মেয়ে শিরিন হোসাইন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে ১৯৯৫ সালে স্বামী শাহাদাত হোসাইনের ঘরনী হয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন জার্মানি। প্রবাস জীবনের শুরু থেকেই বসবাস করেন বাণিজ্যিক শহর ফ্রাঙ্কফুর্টে। ঘরসংসার এবং কাজের ফাঁকে নিজ বাড়ীতে স্বামীর সহযোগীতায় সুদুর জার্মানিতে গড়ে তুলেছেন দেশীয় সবজির বিশাল এক কৃষি আঙ্গিনা।
ফটক থেকে শুরু করে বাড়ির পুরো আঙ্গিনা জুড়েই চাষ করেন বিভিন্ন রকমের বাংলাদেশী সবজি ও ফুল। কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে টমেটো, সীম, বেগুন, করল্লা, লাউ, কুমড়া, শশা, ডাটা শাক, লাল শাক, পালংশাক, পুঁই শাক সহ হরেক রকমের শাক সবজি রয়েছে তাঁর কৃষি আঙ্গিনায়। রয়েছে পুদিনা পাতা ও ডায়াবেটিক নিরাময়ক পাতার ওষুধি গাছ সহ আর অনেক কিছু। শাহাদাত এবং শিরিন দম্পতি পুরো গ্রীষ্মকালে বাড়ীর আঙিনা, ছাদ এবং বেলকনী জুড়েই এই শাক সবজির চাষ করে থাকেন। শুধু নিজেরাই সবজি বাগান করেছেন তা নয়, পরিচিতজনদের বীজ ও চারা দিয়ে সবজি বাগান করতে উৎসাহ যোগান তাঁরা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফ কর্নেল (অব) ফারুক খান এমপি জার্মানি সফরের সময় শিরিন এবং শাহাদাত দম্পতির বাড়ী বেড়াতে এসে তাদের আঙ্গিনা কৃষি দেখে মুগ্ধ হন। সে সময় তাঁর সাথে ছিলেন জার্মানীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরী।
শিরিন হোসাইন জানান, শখের বশে বাংলাদেশ থেকে বীজ এনে প্রথমে তিনি ছোট আকারে সবজি চাষ করেছিলেন। তারপর আস্তে আস্তে বীজ সংগ্রহ করে গড়ে তোলেন বিশাল এই কৃষি আঙ্গিনা। তিনি আরো বলেন, শিল্পায়নের প্রভাবে যেভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নস্ট হচ্ছে, তাঁর থেকে রক্ষা পেতে হলে যার যতটুকু খালি জায়গা আছে সেখানেই সবজি বা ফুল বা গাছ রোপণ করা উচিত। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে এবং পারিবারের জন্যও সবজির যোগান হবে।