জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ৭ই মার্চ উৎযাপন
যথাযথ মর্যাদার সাথে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস জার্মানি। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাষ্ট্রদূত এর নেতৃত্বে দুতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
অনুষ্ঠানে সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী এবং দূতাবাসের মিনিস্টার এম. মুরশিদুল হক খান প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। বাণী পাঠের পর ০৭ই মার্চ ১৯৭১-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট, জাতির পিতার জীবন ও কর্ম এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকার ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতিনিধিগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে প্রদত্ত ভাষণের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামময় জীবন এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পেছনে তাঁর বলিষ্ঠ অবদানের কথা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণই ছিলো প্রকারন্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতি এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর হক খান, নুর জাহান খান নুরি, মাসুদুর রহমান মাসুদ, নুরে আলন সিদ্দিকি রুবেল সহ আরো অনেকে। পরবর্তীতে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্য এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।