জার্মানি থেকে: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে জার্মানির বন নগরীতে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি বদরুন্নেসা হোসেন সুলতানা। মাকসুদা আফরোজের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস তুলে ধরেন বিশিষ্ট ব্যাংকার পারভেজ আখতার এবং উন্নয়ন কর্মী রফিকুল ইসলাম। বক্তাগণ বাংলা ভাষা রক্ষার্থে ছাত্র জনতার আন্দোলনের ইতিবৃত্ত তুলে ধরে বলেন, “পাকিস্তানি শাসক যখন শুধুমাত্র উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করতে চাইলো তখন পূর্ব বাংলা হতে অত্যন্ত যৌক্তিক কারণেই তার তীব্র প্রতিবাদ হয়েছিল।

কারণ উর্দু পুরো পাকিস্তানে তো নয়ই বরং পশ্চিম পাকিস্তানেরও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা নয়। বাঙ্গালির ন্যায্য দাবি যখন তারা মানলো না তখন আন্দোলন তীব্রতর হওয়ায় পুলিশ গুলি চালায়, মারা যায় সালাম বরকত রফিক জব্বার সহ অনেকে।” মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ডঃ তিয়াসা হোসনে আইয়ুব এর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সোনামণিরা প্রথমে দলীয় এবং একক কবিতা ও গান পরিবেশন করে। এরপর ডঃ তিয়াসা হোসনে আইয়ুব এর নেতৃত্বে দলীয় ও একক সংগীত পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা। অন্যান্যের মধ্যে গান ও কবিতা পরিবেশন করেন মুশরাত জাহান, আশরাফুল লতীফ এ্যালিস, নুশরাত হারুন অন্তরা, জাহিদ হাসান, নাজমুল হক রাসেল, বায়েজিদুল ইসলাম রাজিব, মিঠুন প্রনব, ফারাহ নায়ার জাবিন, সুমি জাহান, নাজমুন নাহার রুমানা এবং তুলি তালুকদার এবং মিঠু রমজান। একুশের চেতনা নিয়ে স্বরচিত বাংলা কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও পরিকল্পনাবিদ মোঃ খুরশীদ হাসান সজীব এবং স্বরচিত জার্মান কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও সাংবাদিক হোসাইন আব্দুল হাই।