বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন
জার্মানিতে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।
জার্মানির মাইঞ্জ শহরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, জার্মানির উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই একে একে সবাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে শহীদ হওয়া সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার প্রদত্ত বাংলা বাণী পাঠ করেন জার্মান আওয়ামী লীগের নেতা এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির সহ-সভাপতি ইমরান ভুঁইয়া।
প্রধানমন্ত্রীর ইংরেজি বাণী পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর সভাপতি ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন এমপি’র প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির প্রধান উপদেষ্টা মাহবুবুল হক।
জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস আলী খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মান রাজনৈতিক দল সিডিইউ বাইজেনাউ এর সভাপতি লুকাস আউগুস্টিন।
প্রধান বক্তা ছিলেন জার্মান আওয়ামী লীগের অন্যতম সিনিয়র নেতা এবং জার্মান-বাংলাদেশ বনিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল কবীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সিডিইউ সিনিওরেন ইউনিয়ন এর আঞ্চলিক সভাপতি ব্যার্নার এম এ বয়েথ, জার্মান আওয়ামী লীগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু, জার্মান রাজনীতিক বায়ার ক্যার্স্টিন এবং মানফ্রেড মিল্কে।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন জার্মান আওয়ামী লীগের নেতা বি এম ফরিদ আহমেদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জার্মানির প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক, প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা আবু সেলিম, ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুল মতিন, সহ-সভাপতি আবেদীন জিমারমান, বদরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, তালুকদার মায়েদুল ইসলাম, দুলাল আহমেদ এবং জার্মান-বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান লিটন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতোনা। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারনেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বক্তারা, ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কালোরাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনাকে পৃথিবীর ইতিহাসে একটি ঘৃণিত ও বর্বর হত্যাকাণ্ড বলে অবিহিত করেন।
১৫ আগস্ট বাঙ্গালী জাতীর ইতিহাসের সব চেয়ে কলংকিত দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার করলে তার আদর্শের মৃত্যু হবে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন বঙ্গবন্ধু থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বেঁচে থাকবে।