বার্লিনে “বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান” শীর্ষক আলোচনা ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান - এর ‘জুলিও-কুরি' শান্তি পদকে ভূষিত হওয়ার ৪৮তম বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিন যথাযথ মর্যাদা, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে দূতাবাস প্রাঙ্গনে “বিশ্বশান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান” শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। জার্মানিতে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সংক্ষিপ্ত পরিসরে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
২৩ মে (রবিবার) সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরবর্তীতে জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দ, স্বাধীনতা অর্জনে সকল শহিদ ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা, এবং নির্যাতিত সকল মা-বোনদের স্মরণ ও তাঁদের স্মৃতির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং একই সাথে বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাপ্ত সম্মানসূচক ‘জুলিও-কুরি' শান্তি পদক এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। এরপর সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে “বিশ্বশান্তির দূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” শীর্ষক এক প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি রাষ্ট্রদূত মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া তাঁর বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাংগঠনিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, এবং তাঁর ‘বঙ্গবন্ধু’ থেকে ‘বিশ্ববন্ধু’ হয়ে ওঠার বিষয়ে সংক্ষেপে উপস্থাপন করেন। জাতির পিতার শান্তির দর্শন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়' এবং ‘সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান' কিভাবে তাঁর কর্মজীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রতিফলিত হয়েছে, তা তিনি বিশেষ করে উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী তাঁর শান্তির দর্শনের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন, যা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দ, স্বাধীনতা অর্জনে সকল শহিদ ও জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য, সর্বোপরি দেশ ও মানুষের শান্তি, সুখ, ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।