লাফিয়ে বাড়ছে জার্মানিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরনঘাতী করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে সংক্রামিত হচ্ছে জার্মানিতে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৯৩৭ জন এবং এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে চিন, ইতালি, স্পেন এবং আমেরিকার পরেই জার্মানির অবস্থান। গতকাল শনিবার থেকে দেশটির ১৬ টি প্রদেশের ২ টি প্রদেশ বায়ান মিউনিখ এবং সারল্যান্ড প্রদেশকে লোকডাউন করা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজন ব্যাতিত এই দুই প্রদেশে কেউ বাইরে বের হলে দুই বছরের জেল বা পঁচিশ হাজার ইউরো (প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা) জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
তাই কেউ বাইরে বের হলে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট যথাযথ কারন সাপেক্ষে প্রমাণ পেশ করতে হচ্ছে। জার্মানির প্রায় সকল বড় বড় শহরেই রেস্টুরেন্ট, বার সহ অপ্রয়োজনীয় সকল দকান পাট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ৫ জনের বেশি একত্রিত হওয়ার উপর নিশেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর আগে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ করা হয়েছে দেশটির সীমান্ত এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক দেশটির সকল মসজিদ, গির্জা, মন্দির সহ সকল প্রকার উপাসনালয় বন্ধ রাখা হয়েছে।
সব চেয়ে বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যে। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এ রাজ্যে ৭৩৬১ জন করনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই রাজ্যের একটি এলাকা হাইন্সবেরগে ব্যাপকভাবে সংক্রামিত হয়েছে এই ভাইরাসটি। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে বাডেমবুটেমবার্গ প্রদেশ (আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮১৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে বেভারিয়া বা বায়ান মিউনিখ প্রদেশ (আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৯৫ জন) এবং এই প্রদেশটি লোকডাউন করা হয়েছে গতকাল শনিবার থেকে। সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সকলকে সরকারের নির্দেশ মেনে চলার আবেদন জানান তিনি।