জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উদযাপন করছে বাংলাদেশ দূতাবাস জার্মানি। জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ঢাকা হতে আগত সম্পদ বড়ুয়া, সচিব জন বিভাগ মোঃ জয়নাল আবেদীন, প্রেস সচিব (সচিব) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান। শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে “শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস অদম্য আত্নবিশ্বাস” এই প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
দিবসের শুরুতে সম্মানিত অতিথিদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরবর্তীতে দূতাবাস প্রাঙ্গনে অলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার এম. মুর্শীদুল হক খান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর কাজী তুহিন রসুল।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল স্মরণে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যোগদানকৃত অতিথিবৃন্দ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল স্মরণে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ঢাকা হতে আগত বিশেষ অতিথি সম্পদ বড়ুয়া তাঁর বক্তব্যে শেখ রাসেলের সততা, বুদ্ধিদীপ্ততা ও নেতৃত্বের গুণাবলীর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাধারণ জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই আদর্শ ধারণ করে নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠবে।
রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তাঁর পবিত্র স্মৃতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই থেকে শেখ রাসেল সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর লেখা কিছু উদ্ধৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস পালনের মাধ্যমে ভবিষ্যত বাংলাদেশের কর্ণধার শিশু কিশোরদের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ রাসেলের স্মৃতি অম্লান থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুকে শেখ রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে, যেন তারাই গড়ে তুলতে পারে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
এরপর শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলসহ সকল শহিদের আত্মার কামনা ও দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।