জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ৭ মার্চ পালন

জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করা হয়েছে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আধাপক ডঃ হারুন অর রশিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত শাহেদ আক্তার এবং জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক পিটার সিংগেল।
জার্মানি, চেক রিপাবলিক এবং কসোভোতে বসবাসকারী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসি বাংলাদেশি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সংযুক্ত হয়েছিলেন আলোচনা সভায়। আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ৭ ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি এবং দূতাবাসের মিনিস্টার মুর্শিদুল হক খাঁন প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান।
আলোচনা সভার রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ ই মার্চের ভাষনটির ব্যাপ্তি ১৮ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের হলেও এর প্রভাব এত বিস্তৃত যে এটি বাংলাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল যার ফলশ্রুতিতে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই ভাষধের মাধ্যমে খুব সূক্ষ্ম ভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিনি জাতির জনকের অতুলনীয় দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি অপরিসীম মমত্ববোধ এবং অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলীতে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে অংশীদার হিসেবে ভূমিকা পালনের জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণটি শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবরে ইউনেস্কো " ডকুমেন্টারি হেরিটেজ " হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অধ্যাপক ড . হারুন - অর - রশিদ তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। অধ্যাপক পিটার সিঙ্গেল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গত ১২ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত জনাব শাহেদ আকতার তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালে কিভাবে বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রবাসীদের অনুপ্রাণিত করেছিল সেটি তুলে ধরে সেই সময়ের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করেন।