জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান বিজয় দিবস পালন
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী লগ্নে বাংলাদেশ দূতাবাস, বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ‘বিজয় দিবস-২০২১’ পালন করা হয়েছে। জার্মানিতে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির অবনতি বিবেচনায় ও জার্মানির নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে জার্মানি, কসোভো এবং চেক রিপাবলিক-এ অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ, বিদেশি অতিথিবৃন্দ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অনলাইনে আলোচনা সভায় যোগদান করেন।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতেই জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি এর নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জাতীয় সংগীত বাজিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সকল কর্মচারীদের নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা ও জাতীয় স্মৃতি সৌধের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর জুম প্ল্যাটফর্মে সংযোগের মাধ্যমে “Bangladesh at 50: A Story of Resilience, Innovation & Transformation”-শীর্ষক আলোচনা কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। দেশী ও বিদেশি বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, জার্মানি, কসোভো ও চেক রিপাবলিকে বসবাসরত বাংলাদেশিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করেন।
ভার্চুয়াল আলোচনার শুরুতেই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রেরিত জাতীয় নেতৃবৃন্দের বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। দূতাবাসের মিনিস্টার এম. মুর্শিদুল হক খান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী এবং কাউন্সেলর তানভীর কবির গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে “Bangladesh at 50: A Story of Resilience, Innovation & Transformation” শীর্ষক মূল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অংশগ্রহণকারী বিদেশি আলোচকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, জাতির পিতার অবদান, সোনার বাংলা গঠনে তাঁর স্বপ্ন ও কর্মপরিকল্পনা, বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অভূতপুর্ব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। এছাড়া জার্মানি, কসোভো এবং চেক রিপাবলিক-এ অবস্থানরত বাংলাদেশী কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনলাইনে চমৎকার এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি স্বদেশ, স্বাধীনতা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পঠিত শপথ বাক্যটি সকলকে পাঠ করে শোনানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং বর্তমান সরকারের গৃহীত বিবিধ উন্নয়ন কর্মসূচীর ফলে বাংলাদেশ কিভাবে আজ “উন্নয়ন বিস্ময়” হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে, সে বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন। তিনি তাঁর আলোচনায় আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নেতৃত্বের গুণাবলী ধারণ করে তাঁর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ কূটনীতি, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের মর্যাদাকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
পরবর্তীতে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের জন্য, সকল শহিদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের জন্য, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও জনগণের জন্য দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।