নাসিরনগরে অবাধে বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধন

আকতার হোসেন ভুইয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে খাল-বিল,নদী নালা ও হাওরে অবাধে নিধন করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পেনামাছ। আর এসব মাছ প্রকাশ্যেই স্থানীয় হাট বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। নাসিরনগর মাছের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে,জেলেরা বোয়াল মাছের পোনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনামাছ বিক্রি করছেন। এরমধ্যে বোয়াল মাছের পোনা অধিক। এসব মাছ এসময়ে না ধরলে মাছগুলো ২/৩ মাস পরই বড় আকারে পরিনত হত। এতে মাছের স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অন্যান্য স্থানেও সরবরাহ করা যেত। কিন্তু অবাধে পোনামাছ নিধন করার ফলে হাওরগুলোর মাছশুণ্য হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।নাম প্রকাশে না করার শর্তে কতিপয় জেলেরা জানায়,রাতে এসব বোয়াল মাছ জালে ধরা পড়ছে। প্রতি কেজি বোয়ালের পোনা (ছোট মাছ)২০০/৩০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন বিলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি। অসাধু মাছ ব্যবসায়ী এবং মৌসুমি মাছ শিকারীরা চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছের পোনা এবং মা মাছ নিধন করছে। এতে দেশি প্রজাতির মাছ বিপন্ন হওয়ার পাশাপাশি হুমকিতেপড়েছে জীববৈচিত্র্য। বিভিন্ন নদী,জলাশয় ঘুরে দেখা গেছে,প্রতিটি বিলেই অসংখ্য চায়না দুয়ারি জাল পেতে মাছ নিধন করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে বাদাই জাল দিয়ে বোয়াল মাছের পোনা ধরা হচ্ছে। আর এসব মাছ প্রকাশ্যে হাট-বাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে। নাসিরনগর উপজেলা মৎস্য বিভাগ বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলেছে। কিন্তু অধিকাংশ বিলে অসংখ্য জাল পেতে মাছ ধরা হচ্ছে।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিম আরেফিন জানান,ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রচুর জাল জব্দ করে পোড়ানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত আছে।