কমলগঞ্জ - আদমপুর সড়ক, খানাখন্দে ভরা, জনসাধারণের চরম দূর্ভোগ

পর্যটন সমৃদ্ধময় মৌলভীবাজার জেলা। এ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর সড়কটি। গত ১৫ বছর ধরে ভাঙ্গা ও খানাখন্দে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আদমপুর, ইসলামপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করা ও গতবছরের বন্যায় সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা সদর ও কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ, শমশেরনগর এবং শ্রীমঙ্গল শহরে যাতায়াতের জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করেন এ অঞ্চলের মানুষ।
কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে জনগুরুত্বপুর্ণ এই সড়কটি কোন সংস্কার না করার কারণে সাধারণ মানুষ সহ আগত পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়েন। প্রায়ই এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। কৃষি ও পর্যটন অধ্যুষিত উপজেলার এই সড়কে দিয়ে পর্যটকরা হামহাম জলপ্রপাত, মনিপুরী কমিউনিটি বেইজ ট্যুরিজমসহ ঐতিহ্যবাহী রাসপূর্ণিমা দেখতে যান, সেইসাথে এ অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিশেষ করে টমেটো চাষিরা এই সড়ক দিয়ে উৎপাদিত ফসল শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার ও সিলেটে মালবাহী ট্রাক দিয়ে পণ্য সামগ্রী নেওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া ভাঙ্গা এ সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ হানির মতো ঘটনাও ঘটেছে। সরেজমিন আদমপুর সড়কে গিয়ে দেখা যায় কোন কোন জায়গায় সড়কের কার্পেটিং উঠে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব গর্তের কারনে সিএনজি, টমটম, ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহনের এক্সেল ভেঙ্গে যাওয়া সহ চাকা খোলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন গর্ভবতী নারী ও হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। ভাঙ্গা সড়কের কারনে মুমূর্ষু রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না, যার কারনে সড়কের মধ্যেই রোগী মারা যায়। স্থানীয়রা আগামী বর্ষার আগেই দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবী জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আবদুল্লাহ দৈনিক আমার বার্তা কে জানান, কমলগঞ্জ আদমপুর সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি বিগত বন্যায় পানিতে তলিয়ে যায় এবং ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যায়গায় মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় একটি প্রাক্কলন তৈরি করে হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে। আশা করি শীঘ্রই অনুমোদন হবে। হলেই মেরামত শুরু করা হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান,বিগত বন্যায় উপজেলার অনেক গুলো গ্রামীন সড়ক ও আঞ্চলিক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি, আশাকরি দ্রুত এ সড়ক গুলো সংস্কার করা সম্ভব হবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো.সাইফুল আজম জানান, পুরো কমলগঞ্জে প্রায় ৫০ কিলোমিটার সড়ক বন্যাসহ নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক সংস্কার করতে ৮০ কোটি টাকার প্রয়োজন, ইতোমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বাজেট পাস হলে দ্রুত সংস্কার করা হবে।