ঝড় ও বৃষ্টিতে নাসিরনগরে গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা

আকতার হোসেন ভূইয়া : ব্রাহ্মণবাড়িযার নাসিরনগরে হঠাৎ ঝড়ে ও বৃষ্টিতে বেশকিছু ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হঠ্যাৎ করেই ঝড় আর বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিছিন্ন থাকায় জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। রাতে বজ্রসহ প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। মৌসুমী এ ঝড় বৃষ্টিতে এলাকায় বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে উড়ে গেছে ঘরের চালা আর বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ভুট্টা ও সবজি বাগানের। প্রচ- বাতাসে মাদ্রাসার কাঁচ ভেঙ্গে তারাবি নামাজ পড়তে আসা আহত হয়েছেন ১০ মুসল্লি। ঝড়ের কারণে উপজেলা সদর ছাড়া গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,শনিবার রাত আটটা থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে ভোর রাত পর্যন্ত ঝড়ের সাথে বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির কারণে জমির উঠতি ইরি বোর ধান, ভুট্টা, গম, সূর্যমূখীসহ বিভিন্ন ফসলের বেশ ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়া নাসিরনগর-সরাইল-লাখাই সড়কে গাছের ডালপালা পড়ে যানচলাচলের সাময়িক অসুবিধা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ো বাতাসে নাসিরনগরের ১৩টি ইউনিয়নে বিভিন্ন ফসল আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে ভুট্রা,সূর্যমূখী ও গ্রীষ্মকালীন সবজির বেশি আক্রান্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে বোরো আবাদও কিছু আক্রান্ত হয়েছে। কি পরিমান ফসলের ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল-মামুন বলেন, জেলা অফিসে ছয় ভুট্টা হেক্টর, সূর্যমূখী চার হেক্টর, গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। তবে বৃষ্টি যদি আর না হয় তাহলে আক্রন্ত ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়,আকস্মিক ঝড়ে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে তিনটি মাদ্রাসা ও কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের দারুল কোরআন মাদ্রাসা ঘরের টিনের চালা পাশের একটি গাছের উপর ঝুলতে থাকে। একই গ্রামের বড় মসজিদের দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। এছাড়া পশ্চিম পাড়ার নূর মিয়া ও উত্তর পাড়ার রহিম মিয়ার ঘর ঝড়ে পড়ে যায়।
অপর দিকে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কুন্ডা বড় বাড়ি জামে মসজিদের তারাবি নামাজ পড়ার সময় বজ্রপাতের প্রচ- শব্দে জানালার কাঁচ ভেঙ্গে ১০ জন মুসল্লি আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া জানান,ঝড়-বৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো জানা যায়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, কৃষি কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।