এক যুগ ধরে জরাজীর্ন টিনশেড ঘরে চলছে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম

তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : গত এক যুগ ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের পরিতাক্ত ও জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে বাদাঘাট অস্থায়ী ক্যাম্পের কার্যক্রম চলছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের সুফল জনসাধারণ পেলেও ভবন না পাওয়ায় আবাসন থেকে শুরু করে দাপ্তরিক কাজ সব কিছুতেই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন কর্তব্যরত ১৫জন পুলিশ সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে উপজেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে ছোট-বড় অন্তত সহস্রাধিক ব্যবসা প্রতিষ্টানের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা প্রদানসহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলোতে আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রম উন্নতির লক্ষ্যে ২০১৩ সালে বাদাঘাট অস্থায়ী ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয় বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের পরিতাক্ত ও জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে। বর্তমানে বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একজন সাব ইন্সপেক্টর, তিনজন এসিসট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও ১১ জন কনস্টেবলসহ মোট ১৫ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে।
বাদাঘাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম হায়দার জানান,বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বিত্তশালীদের উদ্যোগে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জয়নাল আবেদীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ৫১ শতাংশ জায়গা কেনা হয়। এরপর গত ২০১৬ সালে বাদাঘাট-দিঘিরপার সুনামগঞ্জ সড়কের পাশে বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে স্বরাষ্ট্র- মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কিন্তু অদ্যবধি পর্যন্ত ভবন নির্মাণের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা না গেলেও জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরেই এখন পর্যন্ত চলছে এ তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন,বাদাঘাট তদন্ত কেন্দ্রের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুতই আলোর মুখ দেখবে। অন্যদিকে ভবন না পেয়ে আবাসন থেকে দাপ্তরিক কাজ সবকিছুতেই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্তব্যরতগন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,টিনশেটের ঘরটি অনেক পুরোনো যার জন্য বৃষ্টি হলেই পুরাতন টিন ছুয়ে ঘরের অনেক স্থান দিয়ে পানি পড়ে। তদন্ত কেন্দ্রের চারপাশে কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী নেই,নেই অস্ত্র রাখার জন্য নিরাপদ কোনো জায়গাও।
বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া জানান,২০১৬ সালে বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে ভিত্তিপ্রস্থর শেষে ভবন নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালি হলেও আর কোনো অগ্রগতির খবর জানা নেই।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহ্সান শাহ(অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)বলেন,মহামারী করোনার সময় নতুন ভবন নির্মাণ কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। এছাড়াও তদন্ত কেন্দ্রটি ভবিষ্যতে থানায় উন্নীত হবে। এখন সে অনুযায়ী ভবন ও অন্যান্য বিষয়ের কাজ এগোচ্ছে।