ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ৫ শতাংশ নারী পারিবারিক নির্যাতনের শিকার
ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের যতজন নারী রয়েছে তাদের মধ্যে ৫ শতাংশ নারী গত বছর গৃহ-অভ্যন্তরীণ (হাউজহোল্ড) নির্যাতনের শিকার হয়েছে। নতুন পরিসংখ্যান প্রকাশ করে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস জানিয়েছে, ১৬ লাখ নারী এবং ৭ লাখ ১২ হাজার পুরুষ ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত হাউজহোল্ড নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মানে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ১৬ বছরের বেশি বয়সী ২৩ লাখ মানুষ নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এই সময়ে পুলিশ ৮ লাখ ৫১ হাজার ৬২টি হাউজহোল্ড নির্যাতন এবং ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৬টি ঘটনা রেকর্ড করেছে। হাউজহোল্ড নির্যাতনের যত ঘটনা গত বছর ঘটেছে সেটা পুলিশ কর্তৃক রেকর্ড করা সব ধরনের অপরাধের ১৫.৮ শতাংশ। এই নথিভুক্ত অপরাধের মধ্যে গত বছরে ভুক্তভোগীদের ৭২.৫ শতাংশ আবার নারী।
এদিকে ২০২৩ সালের তুলনায় রেকর্ড করা হাউজহোল্ড নিপীড়ন সম্পর্কিত অপরাধের সংখ্যা ৬.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ৫১ হাজার ১৮৩ জন বিচারের আবেদন করেছে। এদিকে হাউজহোল্ড নির্যাতনকারীরা যাতে ভুক্তভোগীদের থেকে দূরে থাকে সেটা নিশ্চিত করতে আইন করবে সরকার। নতুন হাউজহোল্ড সুরক্ষা নোটিশ অ্যান্ড অর্ডার আগের সরকার কর্তৃক প্রণয়ন করা হয়। সারা দেশে চালু হওয়ার আগে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের কিছু অংশে এই আইনের ট্রায়াল করা হবে। গত বছর, নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে এক মিলিয়নেরও বেশি অপরাধ যেমন হাউজহোল্ড নির্যাতন, ধর্ষণ, স্টাকিং এবং পর্নগ্রাফি জনিত অপরাধ রেকর্ড করা হয়। যা সমস্ত অপরাধের ২০ শতাংশ।
জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে প্রতি ১১ মিনিটে একজন নারী বা মেয়েকে তার নিজের বাড়িতে হত্যা করা হয়। এই পরিসংখ্যানটি এসেছে ইউএন উইমেনের একটি প্রতিবেদনে। যেখানে বলা হয়েছে নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক জায়গা তার নিজের বাড়ি। ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে পুরুষদের দ্বারা ৮৫ হাজার নারী ও মেয়েকে হত্যা করা হয়। এসব হত্যার ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে ঘাতক নিকটাত্মীয় কেউ ছিল।