অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে ৩০ থেকে ১ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা

মরনঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলার চেষ্টায় ইউরোপের অন্যাণ্য দেশের মত যুক্তরাজ্যও জীবনযাত্রায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গতকাল সোমবার রাতে জাতির উদ্দ্যেশে দেয়া ভাষনে আগামী তিন সপ্তাহ দেশের নাগরিকদের যার যার বাসায় অবস্থান করতে বার বার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, শরীরচর্চার প্রয়োজনে দিনে কেবল একবার বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। যারা জরুরি সেবায় জড়িত, তারা কর্মস্থলে যেতে পারবেন।
খাবার, ওষুধের মত জরুরি সামগ্রী কিনতে দোকানে বা চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়া যাবে। জরুরি নিত্যপণ্যের বাইরে অন্য সব পাণ্যের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে একসঙ্গে দুইজনের বেশি কোথাও চলাফেরা করা যাবে না। এদিকে সরকারের দেয়া এমন নির্দেশণা কে কোন উপদেশ নয় বরং আইন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তিনি বলেন, আইন শৃঙখলা বাহিনী দ্বারা এটি পরিচালিত হবে।
ম্যাট হ্যানকক আরও বলেন, কেউ যদি অপ্রয়োজনে বাইরে বের হয় তাকে ৩০ পাউন্ড থেকে ১ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। এছারাও করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য কয়েক লাখ নতুন টেস্ট ক্রয় করা হয়েছে যা কয়েকদিনের মধ্যে যুক্তরাজ্যে এসে পৌছবে বলেও জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
এর আগে দেশটির সামনের সারির অনেক চিকিৎসক এরই মধ্যে কিটের অভাব থাকা এবং সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবের কারণে কাজের ক্ষেত্রে অনিরাপদ বোধ করার অভিযোগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে লেখা চিঠিতে পিপিই সরবরাহ বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন ৬ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ সমস্যার কথা স্বীকার করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা সারা দিন রাত ট্রাক চালিয়ে চিকিৎসা সরঞ্জাম স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে পৌঁছে দেবে।
বিবিসি তে তিনি বলেন, “এটা অনেকটা যুদ্ধ অবস্থার মত। ভাইরাসের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধ। আর সে কারণেই সেনাবাহিনী সর্বোতভাবে ওই সমস্ত জিনিস পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে যাতে করে সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধারা তাদের সুরক্ষায় তা পেতে পারে।”