নিবিড় পরিচর্যায় স্থিতিশীল আছেন বরিস জনসন, ইংল্যান্ডে আজও ৭৫৮ জনের মৃত্যু
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গতকাল সোমবার রাতে নিবিড় পরিচর্যায় রাত কাটানোর পরে এখন অনেকটা ভাল অনুভব করছেণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টেন ডাউনিং স্ট্রীট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সরকারী একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ৫৫ বছর বয়সী মিস্টার জনসন গতকাল রাতে স্থিতিশীল ছিলেন এবং তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে তবে কোনও ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়েনি।
এর আগে করোনা ভাইরাসের উপসর্গগুলো অব্যাহত থাকায় গত রোববার বরিস জনসনকে সেইন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের ২৪ ঘণ্টায় তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে কোভিড-১৯ এর গুরুতর রোগীদের যেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে জনসনই প্রথম, যিনি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। অপরদিকে মন্ত্রিপরিষদ অফিসের মন্ত্রী মাইকেল গভের পরিবারের এক সদস্যের করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখার পর তিনিও নিজেকে স¦-বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেণ।
মিস্টার গোভ জানান, তাঁর কোনও লক্ষণ নেই এবং তিনি বাড়িতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে শেষ খবর পর্যন্ত ইংল্যান্ডে আজও ৭৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ইংল্যান্ডে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৬৫৫ জন।
উল্লেখ্য “প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সক্ষম না থাকলে কে তার উত্তরসূরীর দায়িত্ব পালন করবেন যুক্তরাজ্যে এ সংক্রান্ত কোনো নিয়ম না থাকায় জনসন তার সহকারী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাবকে ‘প্রয়োজন অনুযায়ী’ দায়িত্ব পালন করতে বলেছেন,” বলেছে ডাউনিং স্ট্রিট।
রাব কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সরকারের এক জরুরি বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে মঙ্গলবার ডাউনিং স্ট্রিটে যান বলেও রয়টার্স জানিয়েছে।
এর আগে সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনসন তার ‘মনোবল চমৎকার আছে’ বলে জানিয়েছিলেন। একইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে রাব জানান, প্রধানমন্ত্রীই এখনো সরকার চালাচ্ছেন। যদিও শনিবারের পর জনসনের সঙ্গে তার আর কথা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে আনতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাজ্য এখন কার্যত লকডাউন হয়ে আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। আগামী সপ্তাহে এ বিধিনিষেধগুলো ফের পর্যালোচনা করার কথা রয়েছে।
দেশটির অনেক নাগরিক সরকারের কঠোর নির্দেশনা মানছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন কয়েকজন মন্ত্রী। যে কারণে লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।