নির্দেশ না মানলে কঠোর আইন প্রণয়নের হুশিয়ারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর,বন্ধ হচ্ছে প্রাইমার্ক

যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের দেয়া পরামর্শকে গুরুত্বের সাথে না নিলে "আরও কঠোর ব্যবস্থা" চালু করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ডাউনিং স্ট্রীটে আয়েজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এমন হুশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার জনসন, সকলকে ত্যাগ স্বীকার করার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অবশ্যই আমাদের সবাইকে সামাজিক দূরত্বের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। বলেন, "আপনি যদি ঠিকভাবে তা পালন না করেন, তবে আমাদের আরও ব্যবস্থা নিতে হবে। এছারাও যারা পার্কে এবং খোলা জায়গায় যেতে চান তাদের অবশ্যই অন্যদের থেকে ২ মি দূরে থাকতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী । এদিকে একই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন, যুক্তরাজ্যর কমিউনিটি ও হাউজিং সেক্রেটারি রবার্ট জেনরিক ও ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডক্টর জেনি হ্যারিস।

এছাড়াও করোনা ভাইরাসে যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮১ এবং আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৬শর ও বেশী।অন্যদিকে এদিকে বিরুধী দলীয় নেতা জেরিমি করবিন সকল এনএইচএস কর্মীদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, তিনি বলেন,এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এনএইচএস কর্মীরা যেভাবে আমাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেণ তা অবিশ্বাস্য। এছারাও লন্ডনের মেয়র সাদিক খানও দেশের জনগনকে সরকারের দেয়া পরামর্শগুলো মেনে চলার জন্য আহবান জানান। সাদিক খান বলেন, “ যদি প্রিয়জনদের মৃত দেখতে না চান তাহলে নির্দেশণাগুলো মেনে চলুন।

করোনা ভাইরাস কারণে চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় ফ্যাশন চেইন প্রাইমার্ক তাদের ১৮৯ টি স্টোর রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছে। এছারাও প্রতিষ্টানটি ইউরোপেও সাময়িকভাবে তাদের স্টোর গুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে । প্রাইমার্ক বস পল মার্চেন্ট বলছেন, আমরা স্পষ্টতই একটি নজিবিহীণ ও কল্পনাতীত সময়ের এর মুখোমুখি হয়েছি।

প্রাইমার্কের এক মুখপাত্র বলেছেন, দোকান বন্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ যে কোনও কর্মী ১৪ দিনের জন্য তাদের চুক্তিবদ্ধ সময়ের জন্য পুরো বেতন পাবেন।

এদিকে একই পরিস্থিতির ফলে জন লুইস ১৫৫ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মত তাদের ৫০টি স্টোর বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।