যুক্তরাজ্যে তিন সপ্তাহে সাতটি মসজিদে ইসলাম বিরোধী গ্রাফিতি
মাহমুদুর রহমান তারেক : যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও আশেপাশের এলাকায় সাতটি মসজিদের দেয়ালে ইসলাম বিরোধী গ্রাফিতি আঁকার ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত মসজিদ সাতটিতে গ্রাফিতি আঁকে একটি চক্র।
এঘটনার পর যুক্তরাজ্যের মুসলিম কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গুলোও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, একটি চক্র ৬ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট নরউড মসজিদ, সাউথ নরউড ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টার, ১৬ জানুয়ারি থর্নটন হেলথ ইসলামিক সেন্টার, ২৩ জানুয়ারি স্টার্টফোর্ট মসজিদ, লেটন জামে মসজিদ, আলবির ফাউন্ডেশন মসজিদ, ২৫ জানুয়ারি নূর উল ইসলাম প্রাইমারি স্কুলের দেয়ালে ইসলাম বিরোধী গ্রাফিতি এঁেক দেয়। গ্রাফিতিতে লেখা ছিল ‘স্টপ ইসলাম’। এছাড়া কয়েকটি মসজিদের স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। একই চক্র টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি গ্রুপ খুলে ভাংচুর ও গ্রাফিতি আকঁতে পারলে ১০০ পাউন্ড পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে।
পুলিশ অবশ্য মসজিদের দেয়ালে আঁকা ‘স্টপ ইসলাম’ গ্রাফিতি গুলো মুছে দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারে নি তাঁরা।
স্টার্টফোর্ট মসজিদের চেয়ারম্যান হাজী আহমেদ আদাম বলেন, গভীর রাতে একজন কালো পোষাক পড়া লোক আমাদের মসজিদের দেয়ালে ‘স্টপ ইসলাম’ লিখে গ্রাফিতি আঁকে। পরে সকালে বিষয়টি আমার নজরে এলে পুলিশকে খবর দেই। তারা এসে গ্রাফিতিটি মুছে দেয় এবং আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমাদের মুসল্লিরা এখনও শান্ত আছেন, কিন্তু বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রমজানের আর মাত্র কিছু দিন বাকি আছে, মুসল্লিরা এখানে নামাজ পড়তে আসবেন। আমরা এরকম বিষয় সহ্য করবো না।
যুক্তরাজ্যের লুটনের বাসিন্ধা মাহবুবুল কারীম সুয়েদ বলেন, ধারাবাহিকভাবে মসজিদে ইসলাম বিরোধী গ্রাফিতি ও ভাংচুর একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমাদের প্রত্যাশা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করবে।
লন্ডনের মেট পুলিশের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার জন স্যাভেল যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র দ্যা স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, আমরা বুঝতে পারছি যে এই ভয়াবহ ঘৃণ্য অপরাধের ধারাবাহিকতার পর মুসলিম সম্প্রদায় তাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন বোধ করবে। আমাদের রাস্থায় ঘৃণার কোনও স্থান নেই, এবং এটি মোকাবেলা করা আমাদের প্রচেষ্ঠার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে, যাতে সকল স¤প্রদায়ের লন্ডনবাসীরা নিরাপদ বোধ করতে পারে।