এন্টারপ্রেন শহরে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক এক দিনের কাউন্সিলর সেবা সফলভাবে সম্পন্ন
২৫ই জানুয়ারি শনিবারে এন্টারপ্রেন শহরে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এক দিনের কাউন্সিলর সেবা অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এটি এই শহরে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এমন একটি উদ্যোগ, যা প্রবাসী বাংলাদেশি জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এ বছর সর্বাধিক সংখ্যক প্রবাসী এই সেবা গ্রহণ করেছেন।
এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসীদের প্রতি গভীর দায়িত্বশীল এবং আন্তরিক। পলিটিক্যাল কাউন্সিলর জনাব আজিজ ভাই অত্যন্ত প্রফেশনাল এবং আন্তরিকতার সঙ্গে এই সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি প্রবাসীদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, “আপনারা দূতাবাসের কাছ থেকে যে কোনো সময় সহযোগিতা আশা করতে পারেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা করা আমাদের কর্তব্য, এবং আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা আমাদের পরিবারের অংশ।’’
ইকোনমিক কাউন্সিলর জনাব আলমগীর ভাই এই আয়োজনের পরিবেশ, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সহযোগিতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, “এই আয়োজন প্রমাণ করে, যখন আমরা একত্রিত হয়ে কাজ করি, তখন যে কোনো বাধা পেরিয়ে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি।”
এ সেবামূলক কার্যক্রমে বাংলাদেশি কমিউনিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উপস্থিত ছিলেন জনাব সানোয়ার আলী সিদ্দিক, নামুর শহরের আবুল হাসনাত সামসু, লিয়াজ শহরের সিনিয়র নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলী, বাতেন বাচ্চু, আশরাফ কিটু, বেলজিয়ামের ছাত্র প্রতিনিধি একরাম,মিঠু, ফরিদ, জাবেদ,পারভেজ, দেলোয়ার ,শাওন,হাবীবএবং আরও অনেকে। তাঁদের ঐক্যবদ্ধ উপস্থিতি এবং সহযোগিতা এই আয়োজনকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে।
কাউন্সিলর সেবার পরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে কমিউনিটি নেতা জনাব সাইদুর রহমান লিটন বলেন, “প্রবাসে আমাদের কমিউনিটি এক পরিবার। বাংলাদেশ দূতাবাসের এই উদ্যোগ আমাদের মধ্যে ঐক্য, সহযোগিতা এবং ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি অনুপ্রেরণার উৎস।”
বিশেষ কৃতজ্ঞতা
বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিসেস প্রীতি রহমান-এর প্রতি কমিউনিটির পক্ষ থেকে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে এন্টারপ্রেন শহরের প্রবাসী কমিউনিটির বিভিন্ন সমস্যার কথা তাঁর কাছে তুলে ধরা হলে, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে উদ্যোগী হয়ে নতুন বছরের শুরুতেই এই সেবার আয়োজনের ব্যবস্থা করেন। যদিও ব্যক্তিগত কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রবাসীদের প্রতি দূতাবাসের দায়িত্ববোধের প্রতীক হয়ে থাকবে।
বিশেষ ধন্যবাদ জানানো হয় সোহেব ভাই, আমির আলী ভাই এবং তাঁর সহধর্মিণী শাহানাজ আক্তার সুইটি ভাবি যাঁরা এই আয়োজনে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। তাঁদের আতিথেয়তা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
পলিটিক্যাল কাউন্সিলর জনাব আজিজ ভাই এবং ইকোনমিক কাউন্সিলর জনাব আলমগীর ভাই ঘোষণা দেন যে আগামীতে লিয়াজ সহ অন্যান্য শহরে এক বা দুদিনের একটি পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিল সেবা প্রদান করা যেতে পারে ।তাঁদের মতে, “আমাদের লক্ষ্য হলো প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের জীবনকে আরও সহজ করা।”
অনুপ্রেরণার বার্তা
বিশ্ববরেণ্য নেতা মহাত্মা গান্ধীর কথায়, “The best way to find yourself is to lose yourself in the service of others.” বাংলাদেশ দূতাবাসের এই উদ্যোগ সেই চেতনাকেই প্রতিফলিত করে।
আমাদের ঐক্য, সহযোগিতা, এবং পরিশ্রমই আমাদের শক্তি। এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের প্রবাসী কমিউনিটির মধ্যে সৌহার্দ্য ও সংহতির বন্ধন আরও দৃঢ় করবে এবং ভবিষ্যতে আমাদের জাতীয় পরিচয়কে বিশ্বের কাছে আরও উজ্জ্বল করবে।