সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মন্ত্রী রোশনারা আলী

মাহমুদুর রহমান তারেক : যুক্তরাজ্যে ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ ও ভাড়া বাড়ানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গ্রহহীণতা বিষয়ক মন্ত্রী রোশনারা আলী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধালমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েসসাইটে তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও রোশানারা আলী পদত্যাগপত্রের একটি কপি শেয়ার করেন। সেখানে ছোট করে তিনি লিখেন, এই লেবার সরকারে কাজ করা আমার জন্য সম্মানের। সরকারের আর কোনও বিক্ষেপ এড়াতে, আমি মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
মাত্র আট মাসের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ করলেন। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি সিটি মিনিস্টার টিউলিপ ছিদ্দিকী পদত্যাগ করেছিলেন।
রোশনারা আলী ২০১০ সালে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ গত বছর লন্ডনের বেথনালগ্রিন ও স্টেপনি আসন থেকে লেবার পার্টি মনোনয়নে পঞ্চমবারের মত এমপি নির্বাচিত হন। পরে কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি গৃহহীণতা বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
বিট্রিশ গলমাধ্যম গুলো জানায়, লন্ডনের বো এলাকার একটি চার বেডরুমের ফ্ল্যাটের মালিকানা ছিল রোশনারার নামে। গেল বছরের নভেম্ভর মাসে বিক্রির কথা বলে
সেই ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়াদের ছেড়ে যাওয়ার নোটিশ দেন তিনি। পরে ভাড়াটিয়ারা ছেড়ে গেলে ফ্ল্যাটটি বিক্রি না করে ৭০০পাউন্ড বাড়িয়ে ৩হাজার ৩০০ পাউন্ডের পরিবর্তে ৪হাজার পাউন্ডে আরেকজনকে ভাড়া দেয়া হয়। বিষয়টি প্রকাশ পেলে গত কয়েক দিন ধরে ব্যাপক সমলোচনার মুখে পড়েন গৃহহীণতা বিষয়ক দফতরের দায়িত্বে থাকা এই মন্ত্রী। বিট্রিশ গণমাধ্যম গুলো বিষয়টি ফলাও করে প্রচার করে। পড়েন বিরোধী দলের তোপের মুখেও।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেন তিনি।
রোশনারা আলীর পৈত্রিক বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। তিনি যুক্তরাজ্যে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।