ভিয়েনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আবু জাফরকে বিদায়ী সংবর্ধনা
গত ২৮ জুন রবিবার অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বাংলাদেশী কমিউনিটির উদ্যোগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি এম আবু জাফর কে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব রুহি দাস সাহা এর পরিচালনায়, সভাপতিত্ব করেন অষ্ট্রিয়া মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বায়েজিদ মীর ।অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করেন দূতাবাসের কর্মকর্তা জুবায়দুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি এম আবু জাফর ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন , অষ্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের অনারারী কনসুল জেনারেল মিস্টার ভিলিঙ্গার ভল্ফগাং, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম এবং অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম ।
সংবর্ধনা সভায় বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতাদের বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এম আবু জাফর এর কাজের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন বলেন, বিদায় শব্দটি তিন অক্ষরের হলেও এর বেদনা কতটুকু তা আমরা সবাই অনুভব করছি। প্রত্যেক বিদায়ের মাঝেই নিহিত থাকে নীলকষ্ট, বিদায় জীবনে শুধু একবারই নয়, এটি মানুষের জীবনে বারবার সম্মুখীন হয়, তবে এ বিদায় যেন বিচ্ছেদের না হয় উল্লেখ করে আবারো ঘুরতে আসার নিমন্ত্রণ জানান। বক্তারা রাষ্ট্রদূতে দায়িত্ব পালনকালের বিভিন্ন ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসহ উনার একান্ত প্রচেষ্টায় ভিয়েনায় বাংলাদেশ এম্বাসির ভবন ক্রয়ের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল কায়েস, বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি জাফর ইকবাল, বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মনোয়ার পারভেজ, আওয়ামী লীগ নেতা নয়ন হোসেন, বাংলাদেশ-অষ্ট্রিয়া সিনিয়র ক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহ কামাল, কণ্ঠ শিল্পী নাহিদ খান সুমি, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জসিম, মিজানুর রহমান শ্যামল, এমরান হোসেন, আহমেদ ফিরোজ, জাতিসংগে কর্মকর্তা ডঃ মনিকা বেগ, শহিদ হোসেন, মজিবুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্বে রাষ্ট্রদূত এম আবু জাফর বলেন, ভিয়েনায় প্রায় ৫ বছর ৭ মাস অবস্থানকালে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতা এবং ভালবাসার জন্য আমি এবং আমার পরিবার চির কৃতজ্ঞ ।তিনি সময় এবং সুযোগ করে অস্ট্রিয়া প্রবাসীদের ভালোবাসার টানে আবারো অস্ট্রিয়ায় বেড়াতে আসার আশ্বাস দেন।
এরপর বিভিন্ন সংগঠন থেকে মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে ফুলেরতোড়া এবং ক্রেস্ট উপহার প্রদান করা হয়।