ইতালি প্রবাসী চট্রগ্রামেরএমদাদুর চৌধুরী একজন সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা
নাজমুল হোসেন : একজন চাকরিজীবী থেকে আজ সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা রাউজানে কৃতি সন্তান এমদাদুর রহমান চৌধুরী!প্রশংসা কুঁড়িয়েছে প্রবাসীদের। সজীব আল হোসাইন প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে,কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা।যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। একজন শিল্পপতি হিসেবে ইতালি সহ জার্মান,ফান্স,সুইডেন,স্পেন,অস্ট্রিয়া,মাল্টা সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে পরিচিত লাভ করেছেন।যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ইতালির বানিজ্যিক নগরী ভিচেন্সায় তিনি তাঁর পরিশ্রম সাহস ইচ্ছাশক্তি একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে প্রবাসী দের ভাগ্য উন্নয়ন ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।সেই ফলস্বরূপ স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা ভিচেন্সা সিটি বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কৃতি সন্তান টাটকা ব্র্যান্ড এর চেয়ারম্যান এমদাদুর রহমান চৌধুরী,পিতা মফজল আহমেদ চৌধুরী।তিনি চট্টগ্রাম স্যার আশুতোষ সরকারী কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন।পরে জীবিকার তাগিদে ১৯৯৮সালে অক্টোবরে ইতালি পালেরমোড় শহরে আসেন।পরে ২০০০সালে ভিচেন্সা অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন এবং কিছু দিন চাকরি করেন।পরে নিজের অভিজ্ঞতা ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে ২০০৩সালে গড়ে তুলেন টাটকা ব্র্যান্ড,বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০/২৫ জন ইতালিয়ান সহ বাংলাদেশি মানুষজন করছেন এবং তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন।এমদাদুর রহমান চৌধুরীর পরিবারে স্ত্রী এবং ২ ছেলে ও ১মেয়ে রয়েছেন,তাদের মধ্যে ১জন ইতালিয়ান স্কুল ও অন্যজন Libera Università di Bolzano ডিজিটাল কোম্পানির আইটি এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়াশোনা করেন, পাশাপাশি বাবার প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছেন। তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন।তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি একজন নবীন ব্যক্তি।তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক।এসকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প,তা অনেকটা রূপকথার মতো।আর সে সব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল,এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা।উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। নিজ এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়ন ও ইতালিতে যদি কোনো প্রবাসী মারা যায় তাদের জন্য বিনামূল্যে কাঁপনে কাপড় দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। এছাড়াও স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটিতে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন।ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র,ভদ্র,সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ।তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই।নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে প্রিয় তাছাড়াও একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। উল্লেখ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান এবং সামাজিক সেবামূলক খাতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ইমদাদুর রহমান চৌধুরী কে বিভিন্ন সময় বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।এছাড়াও উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।স্থানীয় বাংলা কমিউনিটিতে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে তিনি।