ফ্রান্সে দ্বিতীয় বারের মতো নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ , ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ
ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসের কারণে বড় ধরনের সেমিনার , জনসমাবেশ , জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্যারিসের বিচারিক আদালত এলাকা প্লাস দ্যো ক্লিসিতে বিক্ষোভ করে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক সমর্থক গোষ্ঠি । আর এই বিক্ষোভ নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪ বছর আগে ফ্রান্সে পুলিশি হেফাজতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ যুবক অ্যাডামা ট্রোরির বড় বোন আসা ট্রোরি । এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ভাংচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলার কারনে কিছু সময় বাস ,ট্রাম, মেট্রো চলাচল ঐ এলাকায় বন্ধ ছিলো ,কাজ থেকে ঘরে ফেরত জনগন সহ বাংলাদেশী প্রবাসীরা বেশ দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে । এই ঘটনায় ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টানার বলেছেন, গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনও স্থান নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্যারিসে যে বাড়াবাড়ি হয়েছে তার কোনটিই ন্যায়সঙ্গত নয় । যেখানে জনসাধারণের স্বাস্থ্য রক্ষার সকল সমাবেশ নিষিদ্ধ। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান ।
ঘটনাটি এমন সময় ঘটল যখন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পুরো যুক্তরাষ্ট্র । ঠিক তখনি সে আগুনের উত্তাপ এসে পৌঁছাছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।
উল্লেখ্য : ২০১৬ সালে ফ্রান্স পুলিশি হেফাজতে নিহত হয় ২৪ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ যুবক অ্যাডামা ট্রোরি। সে সময় এর প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। গঠিত হয় অ্যাডামা ট্রোরি পরিবারের সমর্থক গোষ্ঠি।
সুত্র:~ ফ্রান্স ২৪ ,নিউজ