সিয়ালে আশানুরূপ সফলতা পেয়েছে সিটি গ্রুপ
আবুল কালাম মামুন : আন্তর্জাতিক খাদ্য মেলায় ( সিয়ালে )বিশ্বের বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান "সিটি গ্রুপ" সহ বাংলাদেশ ও বিশ্বের নামী-দামী ব্যান্ড অংশগ্রহণ করে ৷
আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন
ফ্রান্সের কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী মেডাম এনী জেনফার, সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি সহ সিয়ালের নেতৃবৃন্দ ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন ৷
ভোজনরসিক ও খ্যাতিমান রাঁধুনী আর খাবার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে জমে উঠেছে সিয়াল ফুড ফেয়ার- ২০২৪।
ফ্রান্সের প্যারিসে শুরু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খাদ্যপণ্যের এই মেলা। চলে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ১২০টির বেশি দেশ অংশ নিয়েছে সিয়াল ফুড ফেয়ারের ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে। এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান " সিটি গ্রুপ " এ সি আই, আকিজ গ্রুপ, ওয়াক গ্রুপ সহ বিশ্বের নামীদামী অনেক ব্র্যান্ড।
সিয়াল ফুড ফেস্টিভাল নিয়ে তাদের উৎসাহ বরাবরঅই থাকে তুঙ্গে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আয়োজিত এবারের সিয়াল ফেয়ারও তার ব্যতিক্রম নয়। খাদ্যপ্রেমী, পেশাদার ও সৌখিন রাঁধুনী, নাম করা খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের পদচারণায় মুখর সিয়াল ফুড ফেস্টিভাল।
৬০ বছরে পা দেয়া বিশেষ এই মেলা ঘুরে দেখার সুযোগ ছাড়েননি দেশি-বিদেশী পর্যটক ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
৫ দিন ব্যাপী এবারের আয়োজনে অংশ নিয়েছে ১২০টিরও বেশি দেশ, স্টলের সংখ্যা ৭ হাজার ২০০। নামীদামী ব্র্যান্ডের সাথে এবারের মেলায় স্টল সাজিয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানও। নতুন নতুন খাবারের সাথে পরিচিত হওয়া, বিভিন্ন দেশের রান্নার ধরণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি নিজেদের পণ্যের প্রদর্শনী করতে পেরে খুশি বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এতে করে ব্যবসা প্রসারের সুযোগ বাড়বে, তেমনি বাংলাদেশি পণ্য পৌঁছে যাবে বিশ্বের নানা প্রান্তে।
প্রচলিত ও জনপ্রিয় খাবারের ট্রেন্ড, টেকসই খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা, নতুন খাবারের উদ্ভাবন সব মিলিয়ে এবারের মেলা বিগত যে কোনো বছরের সিয়ালের ফেয়ারের চেয়ে আলাদা। প্রকৃতি থেকে পাওয়া টাটকা খাবারের পাশেই ছিল এআই প্রযুক্তি নির্ভর খাদ্য প্রস্ততকারী যন্ত্রের প্রদর্শনী। দর্শণার্থীরা বলছেন, এ ধরণের আয়োজন শুধু খাবারের প্রতি ভালোবাসাই বাড়াবে না তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহও জোগাবে।
প্রথমবারের মতো এই মেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। পণ্যের গুণগতমান মেলার ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন অংশগ্রহণকারীরা। সচারচর পণ্যের পাশাপাশি কনফেকশনারি পণ্যকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে গ্রুপটি। বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে সরকারের প্রতি আহবান গ্রুপের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের পরিচালক লুৎফুল কবির (শাহিন ) ।
শেষে দিনে দূতাবাসের কমর্শিয়াল কাউন্সিলর মিজানুর রহমান স্টল পরিদর্শন করেন আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশের চা শিল্প সহ প্রসিদ্ধ খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ আশা করেন ৷
এতে বিশ্ব খাদ্য বাজারে বাংলাদেশের খাদ্য রপ্তানি করে অর্থনৈতিক বড় অবদান রাখবে ৷